টেন্ডার বিরোধের জেরে হত্যার দায়ে তিনজনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ২৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৩২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
কুষ্টিয়ায় টেন্ডার বিরোধের জের ধরে লিটন বিশ্বাস (৩০) নামে এক যুবককে গলাকেটে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলার ২১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। একই সাথে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার পশ্চিম আব্দুল্লাহপুর গ্রামের ইছাক মাস্টারের ছেলে আলী রেজা সিদ্দিক বুলবুল, একই উপজেলার মৃত্তিকাপাড়া এলাকার মৃত এছেম আলীর ছেলে মনোয়ার এবং মাইজপাড়া এলাকার জলিলের ছেলে লিয়াকত।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না। তারা পলাতক রয়েছেন। আসামিরা গণমুক্তি ফৌজের সক্রিয় সদস্য ও শীর্ষ সন্ত্রাসী। তারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৭ জুন বিকালে বাড়ি থেকে বের হয় লিটন। সেদিন রাতে নিখোঁজের হয় তিনি। পরের দিন ২৮ জুন সকালের দিকে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পূর্বে পার্শ্বে লিটনের দেহবিহীন রক্তাক্ত মাথা উদ্ধার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা পুলিশ। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে টেন্ডার বিরোধের জেরে লিটনকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
ঐ দিন নিহতের বাবা ও ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার গোলকনগর গ্রামের মৃত চেতন আলী বিশ্বাসের ছেলে আজিবর বিশ্বাস বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে ইবি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মজিবুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। নির্ধারিত ধার্য তারিখে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের শাস্তির আদেশ দেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, লিটনকে গলাকেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। তারা সবাই পলাতক রয়েছেন। এ মামলার ২১ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।