জামালপুরে বিতর্কিত কাউন্সিলর প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন দেয়া নিয়ে ক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৪ পিএম, ২ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৩৬ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
২৮ ফেব্রুয়ারি জামালপুর পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পৌর এলাকার ১১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে বিতর্কিত এক প্রার্থীকে আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয়া নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূলে।
ওয়ার্ড পর্যায়ের ত্যাগী,পরিশ্রমী ও পরীক্ষিত কর্মিরা দাবি করেন ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় ভূমিদস্যু খ্যাত সাবেক শিবিরকর্মী এমদাদুল ইসলাম জীবন। ভূমিদস্যু এমদাদুল ইসলাম জীবন অর্থের বিনিময়ে কাউন্সিলর পদ বাগিয়ে নিয়েছে বলে গুঞ্জন বইছে শহরজুড়ে।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, সাইডলাইনে সরিয়ে রাখা হয়েছে যোগ্য ও পরীক্ষিতদের। রাজনীতিতে পোড় খাওয়া দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হয়েছেন। তবে এ নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করলেও কেউ মুখ খুলছেন না। অপরদিকে দলীয় সমর্থন না দেয়া দুর্দিনের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্দ। উপেক্ষিত রয়ে গেছেন ত্যাগী ও দীর্ঘদিন নৌকার হাল ধরার নেতারা।
ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা দাবী করেন, বিতর্কিত কাউন্সিলর প্রার্থী অতীতে কখনই আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না।
প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের খুশি করে দলীয় মনোনয়ন পদ পেয়েছেন। অতীত জীবনে তিনি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল।পরে বিএনপি হয়ে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছায়াতলে ভিড়েন তিনি। বিএনপির তৎকালীন সময়ে যে কোন মিটিং মিছিল তাকে সামনের কাতারে দেখা যেত। নিয়েছেন বিএনপি-জামায়াত সরকারের নানান সুবিধাও। তার প্রতারণাসহ নানা অপকর্ম ও ব্যবসা বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
এই হাইব্রিড নেতার দাপটে মাঠ পর্যায়ের আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা কোণঠাসা। ক্ষমতার দাপটে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার ভুমিদস্যুতায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় মাঠপর্যায়ে চাপা ক্ষোভ রয়েছে বলে জানান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
এমদাদুল ইসলাম জীবন দলীয় মনোনয়ন পেলেও বঞ্চিতদের মধ্যে অনেকেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বিতর্কিত জীবনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবি সাধারণ ভোটার ও দলের নেতা-কর্মীদের। আসন্ন পৌর নির্বাচনে ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
তারা বলেছেন, যেহেতু কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ নেই, তাই এ পদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এ অবস্থায় কাউন্সিলর পদে সবাইকে 'ওপেন' নির্বাচন করতে দেয়ার সুযোগ দাবি করেছেন তারা।