টাঙ্গাইলে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর-মন্দিরে ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫৯ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে যুবলীগ নেতার হামলায় সংখ্যালঘু পরিবারের ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের ঘরে থাকা কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কষ্টাপাড়া এলাকায় ঘোষপাড়ার সুভাষ ঘোষ ও প্রদীপ ঘোষের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম গোবিন্দাসী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলমের সাথে সুভাষ ঘোষের বিরোধ চলে আসছিল। এক পর্যায়ে গত শুক্রবার সকালে খোরশেদ আলম ও তার ভাই আরশেদ আলী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুভাষ ও প্রদীপ ঘোষের ঘরবাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা ঘরে থাকা প্রতিমা ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিতে গেলে তারা ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। এদের মধ্যে আহত রতন, নিখিল, আশোক, শান্ত ঘোষকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত অমলেষ ঘোষ বলেন, ‘খোরশেদরা ৭-৮ জনের একদল আমাদের ওপর তিন দফায় হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। মহিলাসহ আমাদের কমপক্ষে ১০ জনকে পিটিয়ে আহত করেছে ওরা। এ অন্যায় অত্যাচারের বিচার চাই।’
খোরশেদ আলম বলেন, ‘বাড়ির সীমানা নিয়ে তাদের সাথে মামলা চলছে। কোনো হামলা বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের ওপর ওরাই হামলা ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। ওরা মিথ্যা অপপ্রচার করছে। আমি রাজনীতি করি। মানুষের সেবা করি। এ ধরনের কাজ করতে পারি না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের ভূঞাপুর উপজেলার সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত প্রকাশ্যে দিবালোকে হিন্দুদের বাড়ি-মন্দিরে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। অপরাধীদের যথাযথ বিচার হওয়া দরকার।
ভূঞাপুর থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম আজ শনিবার বিকেলে এ প্রতিবেদককে জানান, দুইপক্ষ থেকেই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় রাজনীতিবিদ, সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মীমাংসার চেষ্টা করছেন।