পুলিশকে টাকা দিয়ে অবৈধভাবে ধামরাইয়ে বংশী নদীতে ড্রেজারে বালু উত্তোলন করছে বালুদস্যুরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০৬ এএম, ১ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৪:২৪ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ঢাকার ধামরাইয়ে বংশী নদীতে বালুদস্যুরা পুলিশকে টাকা দিয়ে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনে বালুু উত্তোলনে চলছে হরিলুট।
জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার বংশী নদীর বাস্তা এলাকায় বালুদস্যু ইমরান কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এদিকে দীর্ঘ দিন ধরে প্রভাবশালী বালুদস্যু স্থানীয় কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করেই চলছে। যেন দেখার কেউ নেই, বংশী নদীতে চলছে রাম রাজত্ব।
সরেজমিনে তদন্তে গেলে উঠে আসে বংশী নদীর দুর্নীতি, অনিয়মের কিছু চিত্র। ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড়, ফসলি জমি, মসজিদ, মন্দির, ব্রিজ, কালভার্ট, কবর স্থান, রাস্তাঘাট এখন ভাঙ্গনের মুখে। বালুদস্যুর দাপটে এলাকার সাধারণ লোকজন অসহায়। কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না ভয়ে। এরা সরকার দলীয় এমপি ও চেয়ারম্যানের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব বিস্তার করছে।
এ প্রতিবেদকের সাথে বালুদস্যু ইমরানের সাথে আলাপ হলে তিনি বলেন, আমরা কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে বালু উত্তোলন করছি। এসিল্যান্ড, ইউএনও আমাদের ড্রেজারের মোবাইল কোর্ট দিলে তা আমরা আগেই খবর পেয়ে যাই। কারণ কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে আমাদের আগেই সতর্ক করে দেন।
গোপন সূত্রে জানা যায়, কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এক উপ-পুলিশ পরিদর্শক এস আইয়ের মাধ্যমে বালুদস্যুরা পুলিশকে মাসে মোটা অংকের মাসোহারা দিচ্ছেন। পুলিশের কারণে ধামরাই বংশী নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন বন্ধ হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।