পাওনা টাকার বিরোধের জেরে মুরগির ফার্মে হামলা, ফার্ম মালিক সহ আহত ২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ১৩ নভেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৩:০২ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় পাওনা টাকার বিরোধের জেরে মুরগির ফার্মে হালাম, কুপিয়ে আহত ফার্ম মালিক সহ ২জন। জানা গেছে উপজেলার ০৩ নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত বিল অঞ্চলের দেউলবাড়ী গ্রামে গত ৯ নভেম্বর বুধবার দুপুর ১২টায় মুরগি খামারী নাঈম বেপারী(৩৫) এর মুরগীর খামারে গাওখালী বাজারের পোল্ট্রিফীড ব্যবসায়ী মুন্না বাহাদুরের ম্যানেজার সন্দীপ ট্রলার যোগে তার লোকজন ও দেশীয় অস্ত্র নিয়া নিয়া ঐ খামারীর খামারে পাওনা টাকার দাবিতে ১০০০ সাদা ও লাল লেয়ার মুরগি ও ২০০০০পিস ডিম নিয়ে রওয়ানা হয়।
এ সময় খামার মালিক নাঈম ও পিতা আব্দুল খালেক (৫৭) বাধা দিলে সন্দীপ বাহীনিরা নাঈম ও আব্দুল খালেককে তাহাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র (দা) দিয়ে কুপিয়ে এবং রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এক পর্যায়ে আব্দুল খালেক বেপারীর পায়ের উপরে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় খামারের কর্মরত ২ কর্মচারীকে বেধে রেখে ডিম ও মুরগি নিয়ে চলে যায়।
এ ব্যপারে নাঈম বেপারী স্ত্রী জাকিয়া বেগম (২৪) এ প্রতিনিধিকে জানান, তার স্বামী বাহাদুর পোল্ট্রী এন্ড ফিস ফিড এর মালিকের সাথে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে। মুরগির বাচ্চা দিয়ে মুরগি ডিম না দেয়া পর্যন্ত ঐ ফিড মালিক মুরগির খাবার সহ ঔষধ সরবরাহ করবে, কিন্তু মুরগি ডিম দেয়া শুরু না করা পর্যন্ত পোল্ট্রী ফিড ব্যবসায়ী কোন টাকা নিতে পারবে না। মুরগি ডিম দিতে শুরু করলে ডিম দিয়ে পাওনা টাকা ও সর্বশেষ মুরগি নিয়ে পাওনা টাকার লেনদেন সম্পন্ন করা হয়। ঐ খামারীর ১ ব্যাচ মুরগি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় বিপাকে পড়ে যায়। ঐ ফিড ব্যবসায়ীকে দিয়ে পুনরায় খামারের বাচ্চা উঠানোর কথা বললে বাচ্চা না দিয়ে পাওনা টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে।
খামারী নিরুপায় হইয়া একই এলাকার অন্য এক পোল্ট্রী ফীড ব্যবসায়ীর নিকট একই চুক্তিতে ব্যবসা শুরু করে এবং ঐ বাচ্চায় ডিম দিতে শুরু করলে বাহাদুর পোল্ট্রী এন্ড ফিস ফিড এর ম্যানেজার সন্দীপ আকশ্মিক ভাবে খামারে এসে প্রায় ২ ঘন্টাব্যপীএ বর্বরচিত তান্ডব চালায়। সন্দীপ বাহীনি চলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন আহতদের নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহদের অবস্থা গুরুতর দেখে উন্নত চিকিৎস্যার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। এ ব্যাপারে খামার মালিকের পরিবার প্রশাসনের কাছে সু-বিচার দাবি করেন।
বিষয়টি নিয়ে ফিড ব্যবসায়ী মনির বাহাদুর (মুন্না) এর সাথে আলাপ করলে তিনি বিষয়টি সম্পূর্ণ এড়িয়ে যায় এবং এ প্রতিনিধিকে বলেন, পাওনা টাকা আদায় করা কী আমাদের অপরাধ?এ ব্যপারে নাজিরপুর থানা-পুলিশ মুঠোফোনে জানায় যে, ঘটনা শুনেছি এবং আমার ফোর্স পাঠিয়ে ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেন নাই, অভিযোগ হাতে পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।