রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১১ এএম, ১ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:১০ পিএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই শিক্ষার্থীর নাম মোবাসসিরা তাহসিন ইরা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী মোবাসসিরা তাহসিন ইরা 'আত্মহত্যা' করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। এই ঘটনার পেছনে প্রেম সংক্রান্ত ব্যাপার রয়েছে বলে তারা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন।
শনিবার রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন মির্জাপুর এলাকার একটি মেস থেকে রাবি আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ইরার মৃতদেহ উদ্ধার করে মতিহার থানা পুলিশ।
ইরার বাড়ি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায়। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ও মা একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিন বোনের মধ্যে ইরা দ্বিতীয়।
তদন্ত কর্মকর্তা ও মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিউলি খানম জানান, সুরতহাল রিপোর্টে ইরা আত্মহত্যা করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হয়েছি ইরা আত্মহত্যা করেছেন। তার ঝুলন্ত লাশ পুলিশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পেলে আসল রহস্য জানা যাবে।'
শিউলি খানম বলেন, 'আমরা জানতে পেরেছি প্রেমঘটিত কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তিনি গতরাতেও মেসে কারো সঙ্গে মোবাইল ফোনে উচ্চস্বরে কথা বলেছেন, এমন তথ্য জেনেছি। তার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার সঙ্গে কী ধরনের কথাবার্তা হয়েছে এবং মোবাইলের কল রেকর্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব থেকে আরো তথ্য জানা যাবে।'
ইরার পরিবারও বলছে, তিনি প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করেছেন। রোববার তার বাবা-মায়ের সঙ্গে মরদেহ নিতে রাজশাহীতে আসেন ভগ্নিপতি ইজাজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘গতরাত দেড়টার দিকে ইরার এক বান্ধবী ফোন করে জানায় সে আত্মহত্যা করেছে। ইরার সঙ্গে সাব্বির নামের এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তিনি থাকেন চট্টগ্রামে। তাদের প্রেমের সম্পর্কে ঝামেলা চলছিল, কিন্তু আত্মহত্যা করবে এমনটা আমরা কখনো ভাবিনি।’
ইজাজ আহমেদ আরো বলেন, ‘ইরার সঙ্গে ওই ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ৩-৪ বছরের। সে ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজে পড়তো। ক্যাডেট কলেজে পড়ার সুবাদে হয়তো ওই ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক তৈরি হয়।’ এ ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার মামলা করা হবে বলেও তিনি জানান।
ইরার মেসে থাকা এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তাদের সম্পর্কে প্রায়ই ঝামেলা হতো। মাঝে মাঝেই তারা ঝগড়া করতেন। ইরা এ নিয়ে হতাশায় থাকতেন, মন খারাপ করে থাকতেন।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রোববার ইরার মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়। পরে মরদেহ এলাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা।