বগুড়ার শেরপুরে জরাজীর্ণ ভবনেই চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন সিএইচসিপিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪৬ পিএম, ৩১ জানুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫০ পিএম, ১০ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বগুড়ার শেরপুরে অসহায় হতদরিদ্র মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করছে উপজেলার ২৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিক। এর মধ্যে বেশিরভাগ কমিউনিটি ক্লিনিক ২০০০ সালের আগে নির্মান করা হয়েছিল। গত চার-পাঁচ বছর ধরে কমিউনিটি ক্লিনিকের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। ভবনগুলোর টেম্পার কমে ছাদ ও বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। হুমকীর মধ্যে রয়েছে রোগী ও সেবাদানকারী কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা(সিএইচসিপি)। এলাকাবাসী ও কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা(সিএইচসিপি)দের দাবি দ্রুত এই ভবনগুলো পুনঃনির্মাণ করা হোক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে ২৯ টি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মধ্যে খানপুর ইউনিয়নের ছাতিয়ানী কমিউনিটি ক্লিনিক, মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরোইল, মাথাইল চাপড়, সিমাবাড়ী ইউনিয়নের নিশিন্দারা, লাঙ্গলমোড়া, খামারকান্দি ইউনিয়নের ঝাজর, গাড়িদহ ইউনিয়নের হাপুনিয়া, গাড়িদহ, কুসুম্বী ইউনিয়নের জামুর ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নের কানাইকন্দর কমিউনিটি ক্লিনিকের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। অবস্থা জরাজীর্ণ।
অন্যদিকে, উপজেলার নিশিন্দারা, জামুর, ছাতিয়ানী ও বিরোইল কমিউনিটি ক্লিনিকের ছাদ ধসে পড়েছে। যেকোনো সময় পুরো ভবন বিধ্বস্তের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখানে এখন প্রসূতিরা আসতে ভয় পায়। ফলে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। ক্লিনিকগুলো প্রতিষ্ঠার পর বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হলেও বর্তমানে অবস্থা খুবই ভয়াবহ। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের জামুর ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা আসমা নামে এক নারী বলেন, ওষুধ নিতে আইসা বিল্ডিং দেইখা ভয় পাইছি। বিল্ডিংটার কোনায় কোনায় ফাটল। যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। বিল্ডিংটা ঠিক করা খুব জরুরি। এখন আমাদের গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক একটিই, এখানে না এসেও উপায় নেই।
এ ব্যাপারে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার রাশেদুল হক, সোমা রানী দাস, খুরশিদা জাহান, আব্দুল বাতেন জানান, আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকের অবস্থা একেবারেই নাজুক। সব সময় আতংক নিয়ে বেহাল এমন সিসিতে বসে চিকিৎসা সেবা দিতে হচ্ছে। এখন শীতের কারণে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছেনা। কিন্তু আগামি বর্ষা মৌসুমেই ছাদ দিয়ে পানি পড়বে। তাই সিসিগুলো পুনঃনির্মানের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাই।
জানতে চাইলে শেরপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল কাদের জানান, এ উপজেলার কয়েকটি কমউিনিটি ক্লিনিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই সিসিগুলোর তালিকা করে সিভিল সার্জন অফিস ও বিএমআরসি ভবনে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বগুড়ার সিভিল সার্জন ডা. গউসুল আজিম চৌধুরী বলেন, জরাজীর্ন কমিউনিটি ক্লিনিকের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়ে দিয়েছি। বিষয়টি চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলো অনুমোদন হলেই কাজ শুরু করা হবে।