চেম্বারের সভাপতি কাজলের নেতৃত্বে আইনজীবীদের উপর হামলা-এ্যাডঃ তৈমুর
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৮ পিএম, ৩১ জানুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:১০ পিএম, ৬ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নারায়নগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বার ভবনে বহিরাগতদের অনধিকার প্রবেশ করে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক তৈমূর আলম খন্দকার বার ভবনে সন্ত্রাসী হামলার জন্য প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমানকে দায়ী করে বলেন, যেহেতু শামীম ওসমানের উপস্থিতিতে তারই অনুগত নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি কাজলের নেতৃত্বে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের উপর হামলা হয়েছে, সেহেতু শামীম ওসমান এ সন্ত্রাসী ও নেক্কার জনক ঘটনার দ্বায় অস্বীকার করতে পারে না।
গতকাল শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তৈমুর আলম এসব কথা বলেন।
তৈমূর আলম খন্দকার আরো বলেন, কাজল একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হয়ে নিজেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নেতৃত্ব দিয়ে নারায়ণগঞ্জের সম্মানিত ব্যবসায়িক সমাজের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছে। এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির (ভূতপূর্ব নারায়ণগঞ্জ মহকুমা আইনজীবী সমিতি) শত বছরের নির্বাচনের ইতিহাসে এটাই প্রথম আইনজীবীদের উপর সন্ত্রাসী হামলা। আইনজীবী ভবনে সন্ত্রাসীদের হামলা নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে একটি ন্যাঙ্কারজনক ঘটনা।
তৈমূর আলম খন্দকার এই সন্ত্রাসী হামলা সম্পর্কে আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার আইনজীবী ও সাংবাদিকদের (তাদের কার্যালয়ে সংলগ্ন আইনজীবী ভবনে) নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়ে আবারো প্রমাণ করলেন, তারা নারায়ণগঞ্জের জনগণের ডি.সি/এস.পি নহেন বরং ন্যাঙ্কারজনক ভাবে সরকারী দলের পারপাস সার্ভ করছেন।
আদালত প্রাঙ্গনে বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীদের নিরাপত্তা চেয়ে পূর্বেই ডি.সি/এস.পি’র দৃর্ষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল, তাহারা নিরাপত্তা বিধানের কথা দিয়েও কথা রাখেন নাই। এ্যাডঃ তৈমূর আলম খন্দকার দু:ক্ষের সাথে আরো বলেন, বার ভবনে সন্ত্রাসী হামলায় আমরা কোথাও বিচার চাইবো না কারণ কোথাও বিচার পাওয়া যাবে না।
বিরোধী দলের উপর যে স্টীমরোলার চলছে তা পুলিশ ও প্রশাসনের জ্ঞাতসারেই হচ্ছে। বিরোধী দলের উপর যখন সন্ত্রাসী হামলা হয় তখন চোখ কান বন্ধ রাখাই বর্তমানে পুলিশ ও প্রশাসনের সংস্কৃতিতে পরিনত হয়েছে। তবে বিষয়টি ইতিহাসের পাতায় একটি জঘন্য ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে থাকবে। যেহেতু সরকারী দলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার পাওয়া যায় না সেহেতু আহত আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের ধৈর্য্য ধারন করার জন্য অনুরোধ জানান। সন্ত্রাসের পতন একদিন হবেই হবে এবং এটাই ইতিহাসের স্বাক্ষ্য।