তজুমদ্দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোরআন শিক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৮ পিএম, ৩১ জানুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:১০ পিএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
ভোলার তজুমদ্দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৭ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পে শূণ্য কোটায় নিয়ম বর্হিভূত ভাবে কেন্দ্র স্থানান্তর করে শিক্ষক নিয়োগের পায়তারা করছেন সুপারভাইজার সহ অন্যরা। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কেন্দ্রের সভাপতি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে।
লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৭ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের শিক্ষা কেন্দ্র ও শিক্ষক বাছাইয়ের জন্য গত ১ ডিসেম্বর ২০২০ সালে ১৬.০১.০০০০.০২৫.১৯.১৩০.২০ স্মারকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। সে মোতাবেক তজুমদ্দিন উপজেলায় মাও. বদিউল আলম সাহেবের বাড়ির দরজার ও উত্তর চাপড়ী কেন্দ্রটি শূণ্য দেখানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিগত ১০ ডিসেম্বর দরখাস্তের শেষ দিনে তজুমদ্দিনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে কর্মরতরা অফিস বন্ধ রাখেন এবং তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রাখেন। ১২ ডিসেম্বর মাও. বদিউল আলম সাহেবের বাড়ির দরজার কেন্দ্রটির শূণ্য কোটায় একজন প্রার্থী দরখাস্ত করতে অফিস ও ফোন নম্বর বন্ধ পেয়ে পরে কেয়ার টেকার মাও. নুর নবীর বাড়িতে গিয়ে তার হাতে দরখাস্ত জমা দেন।
পরে ২৮ ডিসেম্বর নিয়োগ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার দপ্তরে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এক পর্যায়ে কেন্দ্রটির সভাপতি জানতে পারেন তার কেন্দ্রটি অন্যত্র স্থানান্তর করে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে একজন শিক্ষক নিয়োগ করবেন। পরে বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত শর্ত অনুযায়ী ৫ শত মিটারের মধ্যে যারা আবেদন করেছেন তাদের থেকে নিয়োগ দিতে একটি লিখিত অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বিষয়টি অধিকতর খোঁজ খবর নিয়ে নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষকে।
নিয়োগ বোর্ডে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাথে সংশ্লিষ্ট একজন ঈমাম কে সদস্য রাখার নিয়ম থাকলেও তারা তা না করে অন্য একজনকে সদস্য করেন যেটি সম্পূর্ণ দূর্নীতি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসলামিক ফাইন্ডেশনের নুরুল ইসলাম বলেন, নিয়োগে একটু ঝামেলা থাকায় বিষয়টি এখনো প্রকৃয়াধীন রয়েছে। নিয়োগের ভাইবা শেষ সিদ্ধান্তহীনার কারণে সময় লাগবে। নিয়োগ বোর্ডেরসদস্য সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল ইসলাম বলেন, নিয়োগ পরীক্ষা শেষে অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুপারভাইজারকে পরিপত্র অনুযায়ী নিয়োগ দিতে বললে তিনি আমার অজান্তে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর নিয়ে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে নিয়োগ সম্পন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ কমিটির সদস্য হিসেবে আমার কাছে সুপারভাইজার স্বাক্ষর চাইছে তাই আমি স্বাক্ষর দিছি। জটিলতার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা পল্লব কুমার হাজরা বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি সম্পর্কে অধিকতর খোঁজ খবর নিয়ে নিয়ম মোতাবেক শিক্ষক নিয়োগের প্রকৃয়াটি সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।