স্কুল থেকে প্রাইভেটে যাওয়ার পথে শিক্ষাথীকে ছুরিকাঘাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ৩০ অক্টোবর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৫৮ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
প্রতিদিনের মতো স্কুল ছুটির পর মায়ের সাথে প্রাইভেট পড়তে যেতো নীহারিকা। আজ মা নীহারিকার বৃত্তি পরীক্ষার জন্য ছবির কাজ করতে কম্পিউটার দোকানে যায়। নীহারিকা একা একা স্কুল থেকে প্রাইভেট পড়তে চলে যায়। যাওয়ার সময় দুই বখাটে মোটর সাইকেলে এসে পিছন থেকে তার বাম হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে দ্রæত চলে যায়। তার চিৎকারে প্রাইভেট শিক্ষক দৌড়ে আসে। তার পর পরই মাও ছবির কাজ শেষে এসে দেখে মেয়ের হাত কাটা। দ্রুত তাকে মা ও শিক্ষক হাসপাতলে নিয়ে আসে।
ঘটনাটি ঘটে আজ রবিবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার সময় নোয়াখালী জেলা শহরের লক্ষীণারায়ণপুর এলাকার বছিরার দোকান সংলগ্ন আইসিএল স্কুলের সামনে। আহত স্কুল ছাত্রী জান্নাতি মায়মুনা নীহারিকা (১১) নোয়াখালী সরকারী বালিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। সে সদর উপজেলার জাহানাবাদ এলাকার রিয়াজ মাহমুদ ও রোমানা আক্তার দম্পতির মেয়ে।
আহত নীহারিকার মা জানান, প্রতিদিন আমিই মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাওয়া আসা করি। আজ তার বৃত্তি পরীক্ষার জন্য ছবির কাজ করার জন্য কম্পিউটার দোকানে যাই। মেয়েকে বলে দিই স্কুল ছুটির পর প্রাইভেটে চলে যেতে। সে প্রাইভেটে যাওয়ার সময় বছিরার দোকানের কাছে আইসিএল স্কুলের সামনে পৌঁছালে দুই জন লোক মোটর সাইকেলে এসে বাম হাতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে চলে যায়। এত তার হাত অনেকটা কেটে যায়। আমি ও তার শিক্ষক দ্রæত তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন,কে বা কারা, কি কারণে আমার মেয়েকে আঘাত করলো কিছুই জানিনা। কারও সাথে শত্রুতাও নেই। আমি ও আমার মেয়ে আতংকের মধ্যে আছি।
প্রইিভেট শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, নীহারিকা স্কুল থেকে আমার কাছে প্রাইভেট পড়তে আসার সময় দুই জন বখাটে মোটর সাইকেলে এসে তার হাতে জখম করে চলে যায়। তার চিৎকার শুনে আমি আসি। এমন সময় তার মাও ঘটনাস্থলে আসে। আমরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসি।
আহত স্কুল ছাত্রী নীহারিকা বলেন, আমি কাউকেই চিনতে পারি নাই। তারা আমাকে আঘাত করে দ্রুত চলে যায়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত জরুরি চিকিৎসক ডা: নাহিদ হাসান বলেন, মেয়েিেটর হাতে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। হাতে চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে।
সুধারাম মডেল থানা ওসি অনোয়ারুল ইসলাম জানান, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। কিন্তু কোনো কূল কিনারা পাচ্ছিনা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।