নীলফামারীতে সীমার মৃত্যুকে হত্যা দাবী করে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ২৯ অক্টোবর,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১১ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
গৃহবধু সীমার(২৮) মৃত্যুকে হত্যা দাবী করে তার বিচারের জন্য বাবা-মা ও এলাকাবাসী আজ শনিবার বিকালে মানববন্ধন করেছে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ডিসির মোড়ে।
মানববন্ধনে ৫ শতাধিক বিক্ষুব্ধ নারী-পুরুষ অংশগ্রহন করেন। পরে গৃহবধু সীমার বাবা রফিকুল ইসলাম(৪৯) তার বাড়ী গাড়াগ্রামের পশ্চিম দলিরামে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শিউলি বেগম সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িতকন্ঠে দাবী করেন, রণচন্ডি ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের আব্দুল হক ওরফে পেন্দরার ছেলে মোঃ আবু হানিফ(৩২) তার জামাতা। প্রায় যৌতুকের জন্য মেয়েকে মারপিট সহ নানা ধরণের নির্যাতন করত। এসব বিষয় নিয়ে জামাতার বাড়ীতে কয়েক দফা বিচার-শালিসের আয়োজন করেছিলেন তিনি। গত ৪ অক্টোবর’২০২২ তারিখে রাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে জামাতা হানিফ ও তার পরিবারের লোকজন। এবারে তার মেয়ের শারীরিক অবস্থা বেগতিক হলে চিকিৎসার কথা বলে মুখে বিষ ঢেলে দেয়।
পরদিন ৫ অক্টোবর সকালে সংবাদ পেয়ে মেয়েকে মুমূর্ষূ অবস্থায় কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পর বিকালে তার মৃত্যু হয়।
রংপুর কোতয়ালী থানায় ওই দিনই একটি ইউডি মামলা হয়। ইউডি নং-৬৫৩।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যকালে সীমার বাবা-মা দাবী করেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে ৬ জনকে আসামী করে কিশোরগঞ্জ থানায় এজাহার করার জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজিব কুমার রায়ের কাছে গিয়েছিলেন। ময়না তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যাবে না বলে তাদের জানান হয়।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজিব কুমার রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় ইউডি মামলা হয়েছে । ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন কিছুই বলা যাচ্ছে না। সাথে-ছবি আছে