অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন বয়কট করলেন শরিফুজ্জামান তুহিন ও বিএনপির বিদ্রোহী নার্গিস সুলতানার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০৪ পিএম, ৩০ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৫৫ এএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
এজেন্টদের বের করে দেয়া ও ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছেন সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার মেয়র পদের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন ও বিএনপির অপর বিদ্রোহী প্রার্থী নার্গিস সুলতানা।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মলন করে নানা অভিযোগ এনে নির্বাচন বয়কট করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
শরিফুজ্জামান তুহিন অভিযোগ করে বলেন, তিনি ৩ ও ৮ নং কেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে তাকে বাধা দেয়া হয়েছে। এমনকি বহিরাগত অজ্ঞাত যুবকরা তাকে লাঞ্ছিত করেছে। একই অভিযোগ জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুল কেন্দ্রের পাঞ্জাবি ও উটপাখি প্রতীকের প্রার্থীদের। তাদের অভিযোগ, ডালিম প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন ভোট প্রদানে বাধা দিচ্ছে। তাই দুই কাউন্সিলর প্রার্থীও ভোট বয়কট করেছেন।
এদিকে বিএনপির অপর বিদ্রোহী প্রার্থী নার্গিস সুলতানা ভোটে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে বলেন, কোনো কেন্দ্রেই তার এজেন্ট প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে কারচুপির অভিযোগে ১১টার দিকে তিনিও নিজ বাসভবনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজমুল কবীর জানান, তার কাছে ভোটে অনিয়মের তেমন কোনো গুরুতর অভিযোগ আসেনি বা কোনো প্রার্থী তার কাছে লিখিতভাবে জানায়নি। তাছাড়া কোনো এজেন্ট তার কাছে যায়নি। এজেন্টরাও তার কাছে অভিযোগ করেনি।
তিনি বলেন, কলারোয়া পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রে ২১ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ম্যাজিস্ট্রেসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।
এদিকে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সাধারণ ভোটারদের ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়। কলারোয়া পৌরসভার গোপিনাথপুর, তুলসীডাঙ্গা, মুরারীকাঠি, জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের লাইনের পর লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদানের দৃশ্য চোখে পড়ে।
প্রসঙ্গত, মেয়র পদে ৫জনের মধ্যে স্বতন্ত্র সাজেদুর রহমান খান চৌধুরী মজনু ও আক্তারুল ইসলাম আগেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।