তজুমদ্দিনে আলুর বাম্পার ফলনে আশাবাদী চাষিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ২৯ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:২০ এএম, ৬ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে এ বছর ব্যাপক হারে আলু চাষ হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় বাম্পার ফলনের আশা চাষিদের।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, আলু চাষ বেশ লাভজনক হওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় এ উপজেলায় এবার বেশি পরিমাণ আলু চাষ করা হয়েছে। এখানে সাধারণত ডায়মন্ড ও হাইব্রিড দুটি জাতের আলু চাষ করা হয়। তবে উচ্চ ফলনের আশায় অধিকাংশ কৃষকেরা ডায়মন্ড জাতের বীজ বেশি রোপণ করেছে।
এ বছর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে প্রায় ৪শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার মেট্রিক টন।
একাধিক কৃষকের সাথে আলাপকালে জানা যায়, বিগত বছর গুলোর তুলনায় এবার সার, কীটনাশক, বীজের দাম অনেকটা কম এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠ জুড়ে তারা আলু চাষ করেছেন।
শম্ভুপুর ইউনিয়নের আলু চাষি মোঃ নুরনবী জানায়, তিনি ১২ একর জমিতে আলু চাষাবাদ করেছেন। প্রতি একর জমিতে এ পর্যন্ত প্রায় ৯৬ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে। রোগ বালাই আক্রমন না করলে আলুচাষে বেশ লাভবান হওয়ার আশাবাদী তিনি।
আড়ালিয়া গ্রামের চাষি মোঃ ইউনুছ জানায়, ১০ একর জমিতে ডায়মন্ড জাতের আলু চাষ করেছেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যে আলু তোলা যাবে। আলু গাছ অনেকটা রোগমুক্ত এবং ভালো পরিচর্যা করায় আলুর বাম্পার ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে গত বছর আলুর বীজ রোপনের কিছুদিন পরেই বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে আলু গাছ পচে যাওয়ায় কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতির সন্মুখীন হলেও এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে বেশ লাভবান হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন চাষিরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন মিয়া বলেন, আলুর জন্য ক্ষতিকর হলো ঘন কুয়াশা যা এখনো দেখা যায়নি। তাই রোগ বালাইয়ের সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এছাড়া শুরু থেকেই আমরা কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। তারাও সময় মত পরিচর্যা করায় এ বছর আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে উপজেলা ব্যাপী।