আমতলীতে উত্তর সোনাখালী স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি বিরদ্ধে মিথ্যা জিডি করে হয়রানী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ২৯ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ১০:০৩ এএম, ১৭ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
বরগুনার আমতলী উপজেলার উত্তর সোনাখালী স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি মুহঃ মাহবুব আলম মোল্লার বিরুদ্ধে মোঃ সেরাজুল ইসলাম মাষ্টার থানায় মিথ্যা জিডি করে হয়রানী করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এমন অভিযোগ করেন কমিটির সভাপতি মুহঃ মাহবুব আলম মোল্লা।
জানাগেছে, ১৯৩৫ সালে উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর সোনাখালী স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৯৭ সালে ওই স্কুলটি স্কুল এন্ড কলেজে রুপান্তরিত হয়। গত বছর ২৬ নভেম্বর ওই স্কুল এন্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হন দুনীতি দমন কমিশন - দুদক উপ-পরিচালক মুহঃ মাহবুব আলম মোল্লা। তিনি সভাপতি হওয়ার পর থেকেই স্কুল এন্ড কলেজের উন্নয়নের চিত্র পাল্টে যায়। গত দুই মাসে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার স্থাপন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, স্কুল এন্ড কলেজের মাঠ ভরাট, বেষ্টনী নির্মাণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে স্কুল ভবনের নামকরন, আসবাবপত্র ক্রয় ও স্কুলের মেঝে পাকাকরন করেছেন।
গত ১৬ জানুয়ারী স্কুল এন্ড কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুহঃ মাহবুব আলম মোল্লা। সভায় মোঃ সেরাজুল ইসলাম মাষ্টারসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ জানুয়ারী ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোঃ সেরাজুল ইসলাম মাষ্টার বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুহঃ মাহবুব আলম মোল্লার বিরুদ্ধে স্কুল এন্ড কলেজের রেজিষ্টার বই এবং কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনে আমতলী থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইউসুফ মিয়া বলেন, স্কুলের সকল রেজিষ্টার ও কাগজপত্র আমার আলমিরায় রক্ষিত আছে। তিনি আরো বলেন, অডিট কমিটি আমার কাছ থেকে রেজিষ্টার ও কাগজপত্র নিয়ে হিসাব নিকাশ করে আমার কাছেই রেখে যান।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুহঃ মাহবুব আলম মোল্লা বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মোঃ সেরাজুল ইসলাম মাষ্টার বিদ্যালয়ের খাতাপত্র আমি নিয়েছি এমন মিথ্যা অভিযোগ এনে থানায় জিডি করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবী করছি।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ বিষয়ে থানায় জিডি হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।