নারায়ণগঞ্জ বারের নির্বাচনে আ’লীগ সন্ত্রাসীদের হামলা, সাংবাদিক ও আইনজীবীসহ আহত-২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৫০ পিএম, ২৮ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:৪৯ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জ জেলা বারের নির্বাচনে আ’লীগ সন্ত্রাসীদের হামলা, দফায় দফায় মারধর ও হৈচৈ, হট্রগোলের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষের কিছুক্ষন পরই নির্মাণাধীন বার ভবনের নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে। হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন সাধারণ আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল সাড়ে ৫টা) আদালতপাড়ায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আদালতপাড়া দখল করে মিছিল করছেন ক্ষমতাসীন দল আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আদালতপায়ায় উপস্থিত আছেন প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান।
আইনজীবীরা জানান, সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে সাড়ে ৪টায় শেষ হয় ভোটগ্রহণ। নির্মাণাধীন বার ভবনের দ্বিতীয় তলায় ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষ হবার কিছুক্ষন পর আ’লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে ভেতরে হৈ-চৈ, হট্রগোল শুরু হয়। কিছু আইনজীবীকে মারধর করা হয় বার ভবনের নিচতলায়। মারধরের শিকার আইনজীবীদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন, বিএনপি প্যানেলের সমর্থক।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। এতে আইনজীবী ও সাংবাদিকসহ প্রায় ২৫ জন আহত হয় বলে আইনজীবীরা জানান। ভোটকেন্দ্রে এ সময় আইনজীবী ছাড়াও বহিরাগত আ’লীগের নেতা কর্মীদের দেখা যায়। এ সময় শামীম ওসমান বাহিনীর নেতা চেম্বার অব কমার্সের প্রভাবশালী সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনুকেও ভেতরে দেখা যায়।
খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌছান জেলা আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান। তার নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ভেতরে ঢোকার পর আরেক দফায় বিশৃঙ্খলা ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কিছুক্ষন পর কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসেন যাদের বিরুদ্ধে বিএনপির প্যানেল থেকে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে না থাকে সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনসহ ডিসি ও এসপির কাছে অভিযোগের অভিযুক্ত জেলা আদালতের পিপি আ’লীগ নেতা ওয়াজেদ আলী খোকন ও অ্যাড. খোকন সাহা। তারা গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ভেতরে তেমন কিছু হয়নি। কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি ঠিক আছে। ভোট গণনা শুরু হয়েছে।