কুমিল্লায় যুবলীগ কর্মী জিল্লুর হত্যা ‘কাউন্সিলর সাত্তার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৫২ এএম, ২৮ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:১২ এএম, ৩০ অক্টোবর,
বুধবার,২০২৪
যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে গোলাম জিলানী হত্যাকান্ডে গ্রেফতার কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলর সাত্তারের গ্রেফতার ও জিল্লুর হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেন পিবিআই, কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত বছরের ১১ নভেম্বর নগরীর চৌয়ারা এলাকায় যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। ঘটনার পরদিন তার ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী সদর দক্ষিণ থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আলোচিত এ মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে সদর দক্ষিণ থানাপুলিশ। এরপর গত ২ ডিসেম্বর থেকে মামলাটির তদন্ত শুরু করে পিবিআই, কুমিল্লা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, পূর্বশত্রুতা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ঘটনার দিন আসামি কাউন্সিলর আবদুস সাত্তার ও কাউন্সিলর আবুল হাসানের (মামলার প্রধান আসামি) নেতৃত্বে মোটরসাইকেলযোগে আসা সন্ত্রাসীরা জিল্লুরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা মামলাটির তদন্ত শুরুর পর ১০ নম্বর আসামি নুরু মিয়াকে গ্রেফতার করেছি। সর্বশেষ গোপন তথ্য ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে গত মঙ্গলবার পিবিআই পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান ও বিপুল চন্দ্র দেবনাথের মাধ্যমে তাকে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারের পর কুমিল্লায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই মামলার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন সাত্তার। তবে আমরা তদন্তের স্বার্থে সেগুলো এখন প্রকাশ করছি না। পর্যায়ক্রমে সব তথ্য জানানো হবে। আর তাকে আরও বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং জিল্লুর হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি সাত্তারকে গ্রেফতার করা হয়। সাত্তার কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতির পদে রয়েছেন।