শৈলকুপায় সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৬ এএম, ২৮ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২৪ এএম, ১৫ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক প্রতারক চক্র। এই চক্রটি শৈলকুপা, শ্রীপুর, খোকসা ও পাংশা উপজেলার সাধারণ নিরীহ মানুষের সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নাম করে নগদ টাকা, আবার কখনো চেক, স্ট্যাম্প সই নিয়ে জিম্মি করে অভিনব কায়দায় হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
শৈলকুপার চর বাখরবা গ্রামের শরিফুল ইসলাম জানান, তার ছেলে বাধনের সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নাম করে ৮ মাস আগে শৈলকুপা উপজেলার গোয়ালবাড়িয়া গ্রামের সুরুজ আলির ছেলে গিয়াস উদ্দিন (তারা) স্ট্যাম্প ও চেক নিয়ে তার সহযোগী শৈলকুপার চর ডাউটিয়া গ্রামের সিরাজ জোয়ার্দারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে দেয়।
এছাড়াও এই চক্রের সাথে জড়িত জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রাশিদা বেগম, একই গ্রামের মজিবর মুন্সির ছেলে আসানে ও তার স্ত্রী কনা খাতুন, শীপুর উপজেলার মৃত বারিক শেখের ছেলে আক্তার শেখ। এর পর চাকরি দিতে না পারলে আমি চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত চায়। এখন এই প্রতারক চক্রটি আমার চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত না দিয়ে উল্টো আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এই চক্রের সদস্য গিয়াস উদ্দিন (তারা) বলেন, আমি চেক ও স্ট্যাম্প শরিফুল ইসলামের কাছ থেকে নিয়ে জাহাঙ্গীরের কাছে দিই। এখন জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী কেন যে চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত দিচ্ছে না তা আমি বলতে পারছি না।
তিনি আরো বলেন, চাকরি যেহেতু দিতে পারিনি তাই অনেক আগেই চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত দেয়ার কথা ছিল।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার গ্রামের আসানে ও গোয়ালবাড়ি গ্রামের গিয়াসউদ্দিন তারা ও আমার শয়তান মহিলা বউয়ের সাথে শলাপরামর্শ করে এই কাজ করেছে। আমি এর সাথে জড়িত না, পুরো এই নাটকের সাথে জড়িত গিয়াস উদ্দিন ও আমার স্ত্রীসহ ৪/৫ জন, আমার কাছে কোনো স্ট্যাম্প ও চেক নেই। আপনারা চাপ দিলে চেক-স্ট্যাম্প দিয়ে দিবে। শুধু শরিফুল ইসলামই না, এমন অনেক পরিবারের সাথে প্রতারণা করে আসছে এই প্রতারক চক্রটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেছেন গোয়ালবাড়িয়ার গিয়াস উদ্দিন ও চর ডাউটিয়ার জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার স্ত্রী সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নাম করে এক ভয়াবহ সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এই সিন্ডিকেটের পাল্লায় পড়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। তাই এলাকাবাসীর প্রশাসনের কাছে দাবি অতি সত্বর এই প্রতারক চক্রটিকে ধরে আইনের আওতায় আনা।