শামীম ও আইভীতে বিভক্ত আওয়ামী লীগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৯ পিএম, ২৭ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৪৫ পিএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বিভক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে স্থবিরতা কাটছেনা। জেলা আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই দুই ভাগে বিভক্ত। এক ভাগ প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান পন্থী ও আর এক ভাগ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডাক্তার সেলিনা হায়াৎ আইভীপন্থী। তবে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে শামীম ওসমান নেই। মেয়র আইভী এই কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই এবং সাধারন সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল শামীম ওসমানের অনুসারী। তাদের সঙ্গে আরো অনেকে রয়েছেন। বিপরিতে মেয়র আইভীর নেতৃত্বে রয়েছেন সহ-সভাপতি আবদুল কাদির, আরজু রহমান ভুইয়া, সাবেক পিপি আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান সহ আরো অনেকে। জেলা আওয়ামী লীগের এই কমিটি শুরু থেকেই পৃথকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। প্রথম দিকে সভাপতি আবদুল হাই দুই গ্রুপের মাঝে সমন্বয় করার চেষ্টা করলেও পরে তিনি পূরোপূরি শামীম ওসমান বলয়ে চলে যান।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচটি নির্বাচনী এলাকার সাতটি থানার মাঝে প্রায় সব থানায় কম বেশি শামীম ওসমানের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগে শামীম ওসমানের একচ্ছত্র প্রভাব বিরাজ করছে। এই থানায় মেয়র আইভীর তেমন কোনো প্রভাব নেই। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ সদর এবং আড়াইহাজার, সোনারগাঁ এবং রূপগঞ্জ থানায় মেয়র আইভীরও ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। কারন আড়াইহাজার ও রূপগঞ্জের এমপি এবং সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপির সাথে মেয়র আইভীর বেশ ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ফলে ফতুল্লা ছাড়া বাকী সব জায়গায়ই পৃথক পৃথক ভাবে পালন করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি। তাই এই জেলায় আওয়ামী লীগের ভেতর আর কোনো ঐক্যের সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না। ফলে সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল অবস্থানেই রয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ থেকে যাচ্ছে সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল অবস্থানে।