খুলনায় বাবা-ছেলে হত্যায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:২৬ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
খুলনার তেরখাদা উপজেলার আলোচিত জোড়া খুন মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলামসহ ১৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রবিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় অপর দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয় আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৬ আগস্ট রাতে তেরখাদা উপজেলার পহরডাঙ্গা গ্রামের পিরু শেখ ও তার পরিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টার দিকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিঁধ কেটে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। অন্যরা ঘরের দরজা বাইরে থেকে লাগিয়ে দেয়।
‘এ সময় অভিযুক্ত আব্দুর রহমান হুকুম দিয়ে বলে পিরুকে কুপিয়ে শেষ করে দে। ওর জন্য আমি চাকরি হারিয়েছি।’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আসামি সাইফুল হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে পিরুর মাথায় কোপ দেয়। কোপে তার মাথার হাড় ভেঙে ঘিলু বের হয়ে যায়। পরে অন্য আসামিরা পিরুকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে।
পিরু ও তার স্ত্রী চিৎকার করতে থাকলে পাশের ঘর থেকে ছেলে নাইম বাবাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসলে তাকে টেনেহিঁচড়ে উঠানে নিয়ে আসামি খালিদ শেখ ফলাযুক্ত ফুলকুচি দিয়ে নাইমকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দেয়। এ সময় ওই অস্ত্র নাঈমের বুকে বিদ্ধ হয়। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকলে আসামি হাবিবুর ও জিয়ারুল চাপাতি দিয়ে নাইমের কনুই ও ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে ঘটনাস্থলে নাইমের মৃত্যু হয়।’
আসামিরা চলে যাওয়ার পর পিরু শেখকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিরু মারা যান।
এ ব্যাপারে নিহত পিরুর স্ত্রী ঘটনার দুদিন পর তেরখাদা থানায় স্বামী ও সন্তান হত্যার অভিযোগে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।