ওবায়দুল কাদের সাহেব চুপ করে বসে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেত পারবেন না-মেয়র কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৫০ এএম, ২৭ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ০৮:৪০ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনি কি হতে চান। আপনি বাংলাদেশ আ’লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। আপনার এলাকায় ত্যাগী কর্মীরা ঘরে শুতে পারে না, তাদের গুলি খেতে হয়, তারা হাসপাতালের বেডে শুয়ে কাতরাচ্ছে। আপনি সেখানে বসে কি করছেন? চুপ করে বসে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেত পারবেন না। শুনতে খারাপ লাগবে, কি করবেন আপনি। জেলে দিবেন, সেটার অভ্যাস আমাদের অনেক আগের আছে। আপনার থেকে বেশি খেটেছি। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বরে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, মেরে ফেলবেন, কবরের জায়গা দেখিয়ে দিয়েছি। আপনার কাছে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। আপনি বলছেন আমাকে এখান দিয়ে দিও, আমি আপনার পাশে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। আপনাকে ভালোবাসি, এখনো আপনি আমার রাজনৈতিক আদর্শ। এখনো কোম্পানীগঞ্জের নেতাকর্মীরা আপনাকে শ্রদ্ধা করে। শনিবারের পর থেকে আর এই শ্রদ্ধা থাকবে না। স্পষ্ট ভাষায় বললাম। কি বুঝাতে চান আপনি। আজকে আপনি একটা দুশ্চরিত্র, মাদক সম্রাটকে আশ্রয় দিচ্ছেন, প্রশ্রয় দিচ্ছেন। কেউ না থাকলে আমি আবদুল কাদের মির্জা রাস্তায় একা থাকবো, প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করবো। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি নেতার কথা বলব না। উনি কোনো রকমের কথাবার্তা বলছেন না। আমি আজ স্পষ্ট ভাষায় বলব, আপনারা কী জানেন আমি রাজাকারের সন্তান? ওবায়দুল কাদের সাহেব উনি বড় নেতা। উনি ওনার দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে কোনভাবে নিয়েছে, আমি জানি না। আমাদেরকে প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না, আমাদেরকে কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। আমি কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। আমি কারো খাই না, পরিও না। আমরা কি কথা বলতে পারবো না। থামিয়ে দিবেন, থামিয়ে দিতে পারবেন না। একরাম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে। নোয়াখালী আ’লীগের প্রস্তাবিত কমিটি বাতিল করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, একরাম চৌধুরী নোয়াখালীতে টেন্ডারবাজি, চাকরি বাণিজ্য, লুটপাট করছে। আমাদের ত্যাগী কর্মীদের নানাভাবে হয়রানি করছে। কেউ কি দেখার নেই। আগামী রবিবার সকাল থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত আধাবেলা কোমপানীগজ্ঞের সর্বত্র হরতাল। এবং এই হরতালের পরেই আমরা ঢাকাভিত্তিক কর্মসূচি দিব। আমি ইতিমধ্যে নোয়াখালীর নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এখান থেকে কথা বললে নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছায় না। আজকে অনেকে বিক্রি হয়ে গেছে। যারা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে থাকে তারাও বিক্রি হয়ে গেছে। তারা সঠিক কথা তুলে ধরছে না। আমার পরিবারের কেউ রাজাকার ছিল বলেন? আমার আব্বা হেডমাস্টার ছিলেন। উনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর পাশের রুমে থাকতেন।
কাদের মির্জা আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব একরামকে ক্ষমা করতে পারে। বারবার ওনার ক্ষমার কারণে সে আজকে এত বড় সাহস দেখাচ্ছে। এতবড় সাহস দেখিয়েছে, ওবায়দুল কাদেরের গালে গালে জুতা মার তালে তালে, এই স্লোগান কে দিয়েছিল নোয়াখালী আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে? একরামুল করিম চৌধুরী দিছে না? তারপরে ওবায়দুল কাদের সাহেবকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। করে নাই? আমাকেও গালিগালাজ করেছে। আমি বাড়িতে ভাত খেতে বসেছি, সে আমাকে মোবাইলে গালিগালাজ করেছে। আমি উত্তর দিয়েছি। এই একরাম সেই একরাম, যে ’৯৬ সালে বসুরহাট আমাদের আওয়ামী লীগের যে অফিস, সে অফিসে রেস্ট নিতাম, সে আমার পায়ের নিচে বসে জিজ্ঞাসা করেছে, মির্জা ভাই ভোটের অবস্থা কেমন। তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনেক স্ক্যান্ডাল আছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী প্রমুখ।