শ্রীপুরে উপজেলা বিএনপির মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনায় কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৬ এএম, ২৬ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪০ এএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
গাজীপুরের শ্রীপুরে উপজেলা বিএনপির সভামঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ মডেল একাডেমি মাঠে থানা বিএনপির আয়োজনে ওই মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। আয়োজকেরা জানান, রবিবার রাতের কোনো এক সময়ে কে বা কারা তা ভেঙ্গে দিয়েছে। আহবায়ক কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে সভামঞ্চটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ফকির সাংবাদিকদের জানান, আগে থেকেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সভা আহবান করা হয়। ওই সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুল হক মিলন প্রধান অতিথি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর ফারুক সাফিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু রবিবার দিবাগত গভীর রাতে কে বা কারা মঞ্চ ভাঙচুর ও কুপিয়েছে তা চিহ্নিত করা যায়নি। আমরা গতকাল সোমবার সকালে মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনা এবং ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি থাকার কারণে কর্মসূচি বাতিল করেছি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গাজীপুর জেলা যুবদলের সহ-শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, কয়েকজন কর্মী নিয়ে তিনি
আজ সোমবার সকাল ৭টায় ব্যানার সাঁটাতে গিয়ে মঞ্চের বাঁশ নামানো, মঞ্চ ভাঙচুর, কাপড়-চোপড় টেনে হিঁচড়ে ছিড়ে মাটিতে ফেলে দেয়ার দৃশ্য দেখতে পান।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, ঘটনা শুনে গতকাল সোমবার সকালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আশপাশের নেতাকর্মীরা বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হন। পরে সকাল আটটার দিকে জেলা গোয়েন্দা ও শ্রীপুর থানা পুলিশের সদস্যরা নেতা-কর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন।
মুলাইদ মডেল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মকবুল হোসেন বলেন, মহামারি করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মাঠটি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের লোকজন নানা কর্মসূচিতে অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবহার করেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দও তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণ করেছিলেন। তবে প্রশাসনিক অনুমতি ছিল কিনা তা আমার জানা নেই।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, সভার কোনো পূর্বানুমতি না থাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সেখানে কোনো সভার অনুমতি কেউ নেয়নি এবং এ ব্যাপারে পুলিশ বাহিনী অবগত ছিল না। মঞ্চ ভাঙচুরের কোনো অভিযোগও কেউ করেনি।