আ’লীগের ২ পক্ষের উত্তেজনার মাঝে শস্যক্ষেতে মিলল কৃষকের লাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৩ এএম, ২৬ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫০ পিএম, ৪ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের ৯ ঘণ্টা পরে শস্যক্ষেত থেকে আমিরুল ইসলাম ওরফে সবুর (৪৪) নামের এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের ভড়ুয়াপাড়া গ্রামের নিহতের নিজ বাড়ি থেকে কিছু দূর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। সবুর ওই এলাকার মৃত আলিমদ্দিন শেখের ছেলে।
আওয়ামী লীগের দু'পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উত্তেজনার জের ধরে প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। এ ঘটনার পর থেকেই এক পক্ষ গা-ঢাকা দিয়ে আছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহখানেক ধরে জমিতে পানি নেয়ার জন্য নালা (ড্রেনেজ) কাটা নিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শরৎ ও গোলাম সরোয়ারের দু'পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা চলে আসছিল। কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার পর থানায় বসে উভয় পক্ষের সমাঝোতাও হয়। বৈঠক শেষে সবাই বাড়ি ফিরলেও আমিরুল ইমলাম সবুর আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে। পরে নিজ বাড়ি থেকে মাত্র পাঁচ শ’ মিটার দূরে শস্যক্ষেত থেকে সরোয়ার সমর্থিত সবুরের লাশ পাওয়া যায়।
নিহতের ছেলে পিয়াস বলেন, কয়েক দিন ধরে নালা কাটা নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা চলছিল এলাকায়। রোববার রাতে পুলিশ এলে বাবা পালিয়ে মাঠে চলে যান। পরে তিনি ফিরে না এলে অনেক খোঁজাখুঁজি করি। মুঠোফোনে ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এমপি প্রতিনিধি গোলাম সরোয়ার বলেন, জমিতে পানি দেয়া ও নালা কাটা নিয়ে বাগুলাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক নবা গ্রুপের সমর্থকদের সাথে আমার লোকজনের উত্তেজনা চলে আসছিল। কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এরই জের ধরে রোববার বিকেলে সবুরকে পথ আটকে নানান হুমকি-ধামকি দেয়া হয়। পর দিন সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, পরিকল্পিতভাবে তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মাঠে ফেলে দিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে বাগুলাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক নবা মুঠোফোনে বলেন, আমার লোক এ কাজ করেনি। হয়তো প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তারা নিজেরাই এমন কাজ করেছে।
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হাসান বলেন, কৃষকের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে।