ভিক্ষাবৃত্তির আড়ালে নারীদের যৌন হয়রানি, ভিক্ষুক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৩ পিএম, ২৫ জানুয়ারী,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০২ পিএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
রাজশাহী মহানগরীতে ভিক্ষাবৃত্তির আড়ালে নারীদের কৌশলে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে এক বৃদ্ধ ভিক্ষুককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার ভোর ৪টার দিকে মহানগরীর শাহমখদুম কলেজের পিছনে পাচানি মাঠ নামে এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, প্রতিনিয়ত ভিক্ষাবৃত্তির নামে মহানগরীর ব্যস্ততম এলাকা আরডিএ মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় ৫০ ঊর্ধ্ব ওই বৃদ্ধ মেয়েদের কৌশলে যৌন হয়রানি করেন। রাস্তাঘাট ও বাজারে ওই বৃদ্ধ কৌশলে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ সকল বয়সী নারীদের যৌন হয়রানি করার অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগীরা। ইতিমধ্যে এই অনৈতিক কাজটির ভিডিও ভাইরাল হয় ফেসবুকসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে। এতে শুরু হয় সমালোচনা ঝড়।
গতকাল রোববার অভিনব কায়দায় বৃদ্ধের ভিক্ষাবৃত্তির আড়ালে যৌন হয়রানির বিষয়টি সাইফুল ইসলাম দুলাল নামে এক যুবকের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তিনি গোপনে প্রায় ৮ মিনিটের একটি ভিডিও ধারণ করে সেটি ফেসবুকে দেন। পরে সন্ধ্যার দিকে ওই পোস্ট দিলে মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টি সবার দৃষ্টিগোচর হয়। এ ঘটনায় ওই লোকটির আইনের আওতায় এনে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করে অনেকেই সেই পোস্টে কমেন্ট করেছেন।
সাইফুল ইসলামের ফেসবুকে পোস্টকৃত লেখাটি তুলে ধরা হলো-
‘আজ দুপুর আনুমানিক পৌনে দুইটার দিকে রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকায় এই বৃদ্ধ লোকটিকে আমি লক্ষ্য করি। লোকটি সাহায্যের জন্য মূলত মেয়ে/মহিলাদের কাছে যায় এবং তাদের শরীরে স্পর্শ করে এমনভাবে যেন সে অজ্ঞাতসারে বা ভুলে করে ফেলেছে। সন্দেহ হওয়ায় তার পিছু নিই এবং এই জঘন্য কাজ সবার সাথে করতে দেখা যায়। লোকটি বয়স্ক, না বুঝে করেছে ভেবে অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সজ্ঞানে এবং কুৎসিত লক্ষ্য নিয়েই এই কাজ করছে তা সুস্পষ্ট। তার আসল উদ্দেশ্য জানার জন্যই আমি মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করতে থাকি। কিন্তু কোনোরকম ব্যবস্থা গ্রহণের পূর্বেই ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে ফেলি। এই লোক এবং এরকম আরও যারা আছে তাদের থেকে সকলকে সাবধান হতে হবে এবং তাদের যতো দ্রুত সম্ভব প্রশাসনের আওতায় আনার অনুরোধ জানাই। তা না হলে রোজই রাস্তায় নারীরা হেনস্তার শিকার হতে থাকবে।’
বোয়লিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভিডিওটি দেখার পরপরই ওই বৃদ্ধকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন আমাদের মাননীয় পুলিশ কমিশনার স্যার। তারপর থেকেই তার খোঁজখবর নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করি। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ধারায় মামলা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।