পানিবন্দি নিঝুমদ্বীপ, বিপর্যস্ত জনজীবন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১১ পিএম, ১৪ আগস্ট,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:৩৮ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বঙ্গোপসাগরে বিদ্যমান লঘুচাপ ও দক্ষিণাঞ্চলের ওপর সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পুরো নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের ৩০ হাজার মানুষ।
গত কয়েকদিনের অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বৃদ্ধির ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। পানি ঢুকে পড়েছে বাড়িগুলোতে। বেড়িবাঁধ না থাকায় সহজেই জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয় নিঝুম দ্বীপ। জোয়ারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, বন্দর কিল্লা, নামার বাজার, ইসলাম পুর ও মোল্লা গ্রামসহ পুরো নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। পানিতে ভেসে গেছে গবাদিপশুর খাদ্য ও মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে শাকসবজিসহ নানা ফসলি জমি।
নিঝুমদ্বীপ ইউপি সদস্য কেফায়েত উল্যাহ বলেন, জোয়ারের ফলে মেঘনা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় সব তলিয়ে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন পুরো ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার বাসিন্দা।
নিঝুম দ্বীপের বাসিন্দা জহির বলেন, জোয়ারে মাছের ঘের ভেসে গেছে। আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। যদি বেড়িবাঁধ থাকতো তাহলে এতটা দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে গেছে।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ জানান, নিঝুমদ্বীপে ৩০ হাজারের অধিক লোকের বসবাস। ইউনিয়নটির সাগরের একবারে কাছে হলেও নেই কোনো বেড়িবাঁধ। যার ফলে জোয়ারের সময় চারদিক দিয়ে একসঙ্গে এই ইউনিয়নে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। সবাই পানিবন্দি হয়ে আছি। নিঝুমদ্বীপের বাসিন্দা ও সম্পদ বাঁচাতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা খুবই জরুরি।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. নুরুল আলম বলেন, নিঝুমদ্বীপসহ হাতিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল পূর্ণিমা তিথির প্রভাবে প্লাবিত হয়েছে। এতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৬ ফুট উচ্চতায় পানি উঠেছে। আশাকরি দুই একদিনের মধ্যে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সেলিম হোসেন বলেন, উপজেলা প্রশাসন খোঁজ রাখছে, কোথাও কোনো ক্ষতি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।