সিরাজগঞ্জে বিজয়ী কাউন্সিলর তরিকুল হত্যা মামলার আরও ৪ আসামী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৪১ পিএম, ২৩ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:২৪ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
সিরাজগঞ্জে চাঞ্চল্যকর বিজয়ী কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম খান হত্যাকান্ডে জড়িত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুর ৩টায় সিরাজগঞ্জ সদর থানা চত্বরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধ আখতার।
এর আগে শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে ৩জন ও উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুর এলাকা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে এই মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ব্যাপারীপাড়া মহল্লার আনোয়ার হোসেন ব্যাপারীর ছেলে আইনজীবী সানোয়ার হোসেন রতন (৪৫), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এনামুল হাসান লিখন (৩৬), শহীদগঞ্জ মহল্লার শুকুর আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা কামাল (৬০) ও উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর এলাকার মাহতাব ম-লের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)।
সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) স্নিগ্ধ আখতার জানান, গোপন সংবাদের ভিতিত্তে শুক্রবার রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে কাউন্সিলর তরিকুল হত্যার প্রধান আসামী পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্ধিনের আপন ২ ভাই এজাহারভুক্ত ২নং আসামী এনামুল হাসান লিখন, ৪নং আসামী সানোয়ার হোসেন রতন ও ১৫নং আসামী গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তফা কামালকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও এ হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে উল্লাপাড়ার লাহিড়ী মোহনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় হত্যাকারীসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের কয়েকটি টিম তৎপর রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ভোট গণনায় ৮৫ ভোটে বিজয়ী হন তরিকুল ইসলাম। ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরপরই পরাজিত প্রার্থী শাহাদত হোসেন বুদ্দিনের সমর্থকগণ বিজয়ী প্রার্থীদের উপর হামলায় চালায়। এ সময় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিজয়ী কাউন্সিলর তরিকুল গুরুতর আহত হন। ওইদিন রাত ৮টার দিকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ১৭ জানুয়ারি নিহতের ছেলে হৃদয় খান বাদী হয়ে ৩২ জনের নামউল্লেখ করে আরও ৪০/৫০ জনের নাম অজ্ঞাতনামা দিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।