বেলুন ফোলানোর সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই শিশুর মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৯ পিএম, ২২ জানুয়ারী,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:৫১ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বেলুন ফোলানোর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৪ জন। দুই পা হারিয়েছেন বেলুন বিক্রেতাও।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- আহমদ খান এহসান (১২), সে স্থানীয় দক্ষিণ মিয়াজির পাড়ার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। আরেকজন হলো ইউনিয়নের বলিরপাড়ার আজিজুল রহমানের ছেলে এরশাদুল রহমান (১০)।
এদিকে আহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। তারা হলো- মাতারবাড়ির পাশের শাপলাপুর ইউনিয়নের জেমঘাট এলাকার কবির আহমদের ছেলে নুরী (১৬), একই ইউনিয়নের সাইটমারা এলাকার নুরুল হকের ছেলে আক্কাস (১৮), মাতারবাড়ির উত্তর রাজঘাট এলাকার কাইছারুল ইসলামের ছেলে জিহাদুল ইসলাম আবদুল্লাহ (১২), নলবিলার নুর মোহাম্মদের ছেলে মারুফ (১২), সিকদার পাড়ার ফরিদুল আলমের ছেলে সাদেকুল ইসলাম রাহাত (১৩), মগডেইলের আবদুল মান্নানের ছেলে মো. নুরী (১৩) সিকদারপাড়ার আবদুল মোনাফের ছেলে মো. তুহিন (১৪) ও বদন আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীন (১২)'র নাম পাওয়া গেছে।
আহত সবাইকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। অনেক শিশুর পা এবং শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, শুক্রবার থেকে দুই দিনব্যাপী মাতারবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন আজিজিয়া মাদ্রাসার সভার প্রথম দিন ছিলো শুক্রবার। মাহফিল উপলক্ষে স্কুলের মাঠে সিলিন্ডার থেকে গ্যাসের বেলুন ফুলিয়ে শিশুদের কাছে বিক্রি করছিল এক বেলুন বিক্রেতা। হঠাৎ বিকট শব্দে গ্যাস সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়। বিদ্যালয়ের মাঠে শিশুসহ নানা শ্রেণির-পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিলো।
চেয়ারম্যান আরও জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিকের নির্দেশে হতাহত সকল পরিবারে নগদ ১০ হাজার টাকা করে দিয়ে দাফন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখনো ঘটনাস্থলে একটি মাথা, দুটি পা ও একটি বিচ্ছিন্ন হাত পড়ে রয়েছে। তবে এগুলো কার তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। আমার এলাকার দুই শিশুর মরদেহ নিয়ে আসা হয়েছে। ধারণা করছি ক্ষত-বিক্ষত অংশগুলো বেলুন বিক্রেতার শিশু সন্তানের। কিন্তু বেলুন বিক্রেতার পরিচয় জানা যায়নি।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের অফিসারসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।