আমতলীর কৃষকরা এখন বোরো চাষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন, বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

বরগুনার আমতলীতে বোরো ধান চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। ধানের দাম বেশী থাকায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ৫ গুন বেশী বোরো চাষ করছেন তারা। ভালো ফলনের আশা করছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি বিভাগ বোরো আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করতে এক হাজার ৬’শ কৃষককে উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজ সরবরাহ করছে। এতে বোরো চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে।  

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, গত বছর আমতলীতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ১০ হেক্টর। এ বছর ওই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করছে কৃষকরা। ধানের দাম বেশী থাকায়  গত বছরের তুলনায় এ বছর ৫ গুন বেশী জমিতে বোরো চাষ করছে কৃষকরা।

বোরো ধান চাষের উপযুক্ত সময় মধ্য কার্তিক থেকে শুরু করে ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। উচ্চ ফলনশীল জাতের বিরি-২৮, বিরি-২৯, বিরি-৪৭ ও বিরি-৫৮ ধান চাষ করছে কৃষকরা। বীজতলা থেকে শুরু করে পাঁচ মাসের মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফলন আসে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী, আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর ও আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন  কৃষকরা বোরো চাষ করছে। কৃষকরা জমি চাষ, সেচ, বোরো ধানের চারা উত্তোলন ও বপন কাজে ব্যস্ত সময় কাটাছেন। 
চাওড়া কাউনিয়া গ্রামের মাসুদ ও আল আমিন বলেন, ধানের দাম ভালো তাই বোরো চাষ করছি।

আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের আসাদুজ্জামান বলেন,  এ বছর ধানের দাম ভালো। তাই কৃষক বোরো ধান চাষে ঝুকছে। গত বছর এক একর জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম এ বছর তিন একর জমিতে বোরো চাষ করেছি।

আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ঘোপখালী গ্রাামের শাহ আলম বলেন, গত বছর এক একর জমিতে বোরো চাষ করেছিলাম দাম ভালো পাইনি।  এ বছর ধানের দাম ভালো তাই ৬ একর জমিতে বোরো চাষ করেছি। 

আমতলী উপজেলা কৃষি অফিসার সিএম রেজাউল করিম বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। গত বছর বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০১০ হেক্টর। এ বছর গত বছরের তুলনায় ৫ গুন বেশী জমিতে কৃষকরা বোরো আবাদ করছে।
তিনি আরও বলেন, এ বছর এক হাজার ৬’শ কৃষককে উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের বীজ সরবরাহ করেছি। সরকার দক্ষিনাঞ্চলে বোরো ধান চাষে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ওই অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে উপজেলা কৃষি বিভাগ নিরলসভাবে কাজ করছে।