চাঁদপুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১০ এএম, ২১ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:৫৮ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শ্রবণ প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে কৌশলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে সিএনজি স্কুটার ও ইজিবাইক চালক ছয় যুবক দলবেঁধে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামে। এ ঘটনায় পুলিশ মঙ্গলবার বিকালে চারজনকে আটক করে চাঁদপুর আদালতে পাঠিয়েছে।
থানায় দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বিকালে শ্রবণ প্রতিবন্ধী কিশোরীটি বুকের ব্যথার ওষুধ কেনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় একই বাড়ির জামাল হোসেনের ছেলে ইজিবাইক চালক টিটু কৌশলে তার ইজিবাইকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাত হয়ে গেলে টিটু ও তার সহযোগী অন্যরা পালাক্রমে দ্বিতীয়বার ইউনিয়নে পরিষদ ভবন এলাকায় এবং সর্বশেষ পার্শ্ববর্তী একটি বাগানে নিয়ে আবারো ধর্ষণ করে এবং ওই বাগানের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
পরে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। বাড়ি ফিরে কিশোরী তার পরিবারের লোকজনকে এ ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানায়।
এরপর স্থানীয়ভাবে ঘটনার বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযানে বের হয়। দিরভর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তারা সবাই ইজিবাইক ও সিএনজি স্কুটার চালক। এরা হলেন ইজিবাইক চালক টিটু (২০), আইটপাড়া গ্রামের শিপন (২৫), একই গ্রামের মিজানুর রহমান রিপন (৪৫)। পরে মঙ্গলবার বিকালে কামতা গ্রামের চৌকিদার আ. মালেককে (৪৫) আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবারই ঘটনার শিকার কিশোরীর মা জোছনা বেগম বাদী হয়ে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে ফরিদগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদ হোসেন জানান, ঘটনাটি শোনার পর দিনভর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত তিনজনকে এবং মঙ্গলবার শেষ বিকালে আরেকজনকে আটক করতে সক্ষম হই। বাকিদেরকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কিশোরীকে উদ্ধার করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের জন্য ও আটকদের চাঁদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।