আওয়ামী লীগের এমপি পার হবেন, তাই সেতু বন্ধ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৬ এএম, ২১ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৪৩ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এমপি পার হবেন, তাই বন্ধ রাখা হয় একপাশের যান চলাচল। সেতুর পূর্ব প্রান্তে (বোয়ালখালী অংশে) শত শত যানবাহন ও মানুষের ভিড়ের মাঝে সিএনজি টেক্সিতে আটকে ছিল দগ্ধ এক শিশু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শিশুটিকে নেয়া হচ্ছিল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। উপস্থিত জনতা ও স্বজনদের কাকুতি-মিনতি সত্ত্বেও পার হতে পারল না দগ্ধ শিশুটিকে বহনকারী সিএনজি টেক্সিটি। সকাল সাড়ে দশটা তখন। এমপি সেতু পার হলেন ১১.৪৫ মিনিটে। দেড় ঘন্টারও বেশি সময় ধরে দগ্ধ শিশুটিকে জ্বালা পোড়া শরীর নিয়ে কাতরাতে হয় ওই স্থানেই।
গত ১৭ জানুয়ারি রবিবার এ ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম ৮ আসনের সাংসদ মোছলেম উদ্দীন। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা খুবই অমানবিক ও দুঃখজনক।
তবে এটিই একমাত্র ঘটনা নয়, বিভিন্ন সময় দেখা যায়, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেই অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ বা সরকারি অন্য কর্মচারি সাধারণের চলাচলের পথ বন্ধ করে সেই ব্যক্তিকে পার করে দেন। দেখা যায় আটকে রাখা গাড়ি বহরে আটকা পড়েছে অ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও।
এ প্রসঙ্গে সিএমপির নগর বিশেষ শাখার উপ- পুলিশ কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ বলেন, এরকম কোনো নিয়ম নেই। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে অনেক সময় নিরাপত্তার কারণে কাজটা করতে হয়। কিন্তু যদি দেখা যায়, আটকে থাকা গাড়ির মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স কিংবা ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আছে, অথবা যদি জানা যায় যে, আটকে থাকা গাড়ির মধ্যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি আছে তবে তাকে পার করে দেয়াটাই প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব। আমাদের কমিশনার স্যার (সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর) এ ব্যাপারে কঠোর ইন্সট্রাকশন দিয়েছেন। সবার আগে মানবতা। অনেক সময় অতি উৎসাহী কর্তব্যরত কেউ কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটায়।