আমতলী গ্রাম আদালতে স্বল্প সময়ে হচ্ছে ন্যায় বিচার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৬ এএম, ২১ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:২৬ এএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
গ্রাম আদালত সক্রিয় করন ২য় পর্যায় প্রকল্প বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়নে সক্রিয়ভাবে পরিচালিত হচ্ছে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ২০১৭ থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭২টি দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা দায়ের হয় এর মধ্যে ৪৪৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে।
দেওয়ানী মামলায় ২০ টাকা আর ফৌজদারী মামলায় ১০ টাকা ফি দিয়ে গ্রাম আদালত আইন অনুসারে মামলা দায়ের করতে হয় গ্রাম আদালতের সহকারীর নিকট। এরপর গ্রাম আদালতের সহকারী মামলার বিষয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করলে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান ২ জন ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ২ জনের সমন্বয়ে ৫ জনের গ্রাম আদালতের বিচারিক প্যানেল গঠন করেন। গ্রাম আদালতে স্বল্প খরচে অল্প সময়ে বিচার পেতে এখন আমতলীর সদর ইউনিয়নের সাধারন মানুষ থানা ও কোর্টে না গিয়ে যাচ্ছেন গ্রাম আদালতে।
আমতলী সদর ইউনিয়নের গ্রাম আদালতের সহকারী ঝর্না আক্তার জানান, ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪৭২টি দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা দায়ের হয়েছে তার মধ্যে ৪৪৩ টি মামলা প্রাথমিক সুনানী শেষে বিচার নিস্পত্তি হয়েছে। এতে ৪০ লাখ ৫২ হাজার দুই শত ৫২ টাকা আদায় পূর্বক সংশ্লিষ্ট বিচার প্রার্থীদের প্রদাণ করা হয়েছে।
বিচারপ্রার্থী জয়নাল মিয়া বলেন. আমার একটি জমি সংক্রান্ত সমস্যায় গ্রাম আদালতে মামলা দায়ের করলে খুব অল্প সময়ে আমার সমস্যার সমাধান হয়েছে। কোর্টে গেলেতো বছরের পর লাগতো। তার চেয়ে আমাদের গ্রাম আদালতই ভালো।
আমতলী সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি দেওয়ান মস্তফা কবির বলেন, আমতলী সদর ইউনিয়নের সাধারন জনগন যে ভাবে গ্রামীন আদালতের মাধ্যমে সুবিধা পাচ্ছে তাতে গ্রামীন আদালত উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়নে কার্যকর হলে প্রান্তিক মানুষ ব্যাপক সুবিধা পাবে।
আমতলী সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, আমাদের ইউনিয়নটি একটি আদর্শ ইউনিয়ন। ইউনিয়নে নেই কোনো বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং এমনকি জঙ্গীবাদের মত সমস্যা।