লাইসেন্স-ডাক্তার-নার্স ছাড়াই চলছিল ৩ ক্লিনিক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪৪ এএম, ২০ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৪১ পিএম, ২৪ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
লাইসেন্স, চিকিৎসক, নার্স এমনকি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ছাড়াই নামমাত্র চিকিৎসাসেবা দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল তিনটি ক্লিনিক। পরিদর্শনের সময় এমন অনিয়মের চিত্র উঠে আসায় যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া এলাকার ওই ক্লিনিকগুলো সিল করে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন নেই, ডাক্তার-নার্স নেই, এরপরও প্রতিদিন রোগী দেখা ও ভর্তি করা হচ্ছে। করা হচ্ছে বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা-নিরীক্ষা। এসব তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় শার্শার বাগআঁচড়ায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলা জনসেবা ক্লিনিক, বাগআঁচড়া ক্লিনিক ও আল মদিনা ক্লিনিককে বন্ধ ঘোষণা করে তালাবদ্ধ করে সিলগালা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘অনেক কিছুই নেই। এর মধ্যে চলছিল ওই প্রতিষ্ঠান তিনটি। তাদের বারবার নোটিশ করা হয়েছে কাগজপত্র হালনাগাদ করতে। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। লাইসেন্স না থাকা, প্যাথলজি সমস্যা, ডাক্তার-নার্স না থাকায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ যশোরে স্বাস্থ্যসেবা খাতে অনিয়ম-অসঙ্গতি রুখতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, সংঘবদ্ধ অসাধু চক্র যশোর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার ছোট-বড় বাজারগুলোতে অবৈধভাবে হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে ব্যবসা করছে। দফায় দফায় সতর্ক করলেও তারা প্রতারণামূলক কার্যক্রম থেকে সরে আসেনি। স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমোদন ছাড়াই সেগুলোতে আবাসিক রোগীও দেখা হচ্ছে। এ সময় সিভিল সার্জন ছাড়াও শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইউসুফ আলী, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহনেওয়াজ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।