অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাকে কথা বলতে হবে-মেয়র আবদুল কাদের মির্জা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৭ এএম, ১৯ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:৩৭ পিএম, ১০ নভেম্বর,রবিবার,২০২৪
অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাকে কথা বলতে হবে। আমি ভয় করি একমাত্র আল্লাহকে। আমি একরাম চৌধুরীর (নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য) বিরুদ্ধে বলেছি। আমি জাতীয় রাজনীতি নিয়ে কথা বলিনি। সে চাকরি বাণিজ্য করে। প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে খোদা মানে। প্রশাসনের এ তেল মারা বন্ধ করতে হবে। প্রশাসনের দুর্নীতির বিচারও করতে হবে। ক-এর লগে বোন্দা (ডট) দিতে পারে না তারা আজ এমপি। আমি মারা গেছি, আমার বৌকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দিতে হবে , না হলে আমার ছেলেকে দাঁড় করিয়ে দিতে হবে- এ সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে।
আজ সোমবার বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে বিজয়ী মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নির্বাচন পরবর্তী ভোটারদের সাথে নির্বাচনি কুশল বিনিময় সভায় এ কথাগুলো বলেন। বিজয়ী মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।
মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, এখন থেকে সকল রাজনৈতিক দল এখানে তাদের দলীয় কাজ করতে পারবেন। তবে কোনো অপরাজনীতি হয়ে থাকলে তা মানা হবে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে বিএনপি-জামায়াত আবার বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগ এলাকা ছাড়তে হয়- এ সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। কোম্পানীগঞ্জের সকল নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। এখানে গণতান্ত্রিক উপায়ে সব হবে। আমরা অতীতে অনেক ভুল করেছি। আল্লাহর কাছে আমি ক্ষমা চাই। আল্লাহ ক্ষমাশীল। আল্লাহ ক্ষমা করবেন। কোনো অপরাধী অপরাধ করে বাঁচতে পারে না। কোনো না কোনভাবে তাকে শাস্তি ভোগ করতে হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের সভাপতিত্বে ও চরপার্বতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীরের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আরজুমান পারভীন রুনু।
তিনি আরো বলেন, এ বিজয় জনগণের বিজয়। এ বিজয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একটি অসাম্প্রদায়িক সুখি সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ার বিজয়। এ বিজয় জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিজয়। এ বিজয় ওবায়দুল কাদের সাহেবের বিজয়। এ বিজয় তাদের যারা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি সাহস যুগিয়েছে। এ বিজয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর আন্তরিকতার বিজয়। আমি সকলের জন্য এ বিজয় উৎসর্গ করলাম। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোশারফ হোসেন এর সাথে দেখা করেছি। তারা আমাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। আমি তাদের এ সমাবেশ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
বিরোধী পার্টির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি জামায়াত করেন। আপনার রাইট আছে। কিন্তু নীরবে বসে বঙ্গবন্ধুর সমালোচনা করবেন না। মানা হবে না। মসজিদের মিম্বরে বসে সমালোচনা করবেন না। আমি আল্লাহকে সিজদা দেই। আমি সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করি। জোর করে মুসলমান বানানোর চেষ্টা করলে আমার মনে হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায় করতে পারবেন না। মিম্বরে বসে রাজনীতি করবেন না। ওয়াজ করে যারা চেয়ে টাকা নেয় তারা প্রকৃত মুসলমান নয়।
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছাত্রদের কাছে আমার অনুরোধ, সন্ধ্যার পর তোমাদের ঠিকানা পড়ার টেবিল। সন্ধ্যার পর রাস্তায়, বাজারে ঘোরাঘুরি, আড্ডায় লিপ্ত হবে না।
আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের কাছে আবেদন, নোয়াখালীতে ত্যাগী নেতাদের নিয়ে জেলা কমিটি করেন। ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করবেন না। আওয়ামী লীগে অনেক পরীক্ষিত নেতা আছে তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করুন। তাদের ঐক্যবদ্ধ করলে কখনও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো যাবে না।