মির্জাগঞ্জে ব্রিজ ভেঙ্গে পানিতে পড়ে মাদরাসা সুপারের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৩ এএম, ১৭ জানুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১২:৫৩ এএম, ৭ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মহিষকাটা বাজারের পূর্ব পাশে শ্রীমন্ত নদীর ওপর মহিষকাটা-আন্দুয়া কলাগাছিয়া সংযোগ আয়রন ব্রিজটি ভেঙে পানিতে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আরো সাতজন আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৮টার দিকে। মো. আইয়ুব আলী উপজেলার কলাগাছিয়া আছমতিয়া এন্তাজিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের নলদয়ানি গ্রামে। আর আহতরা হলেন, কলাগাছিয়া আছমতিয়া এন্তাজিয়া দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মো. দেলোয়ার হোসেন খান, অফিস সহকারী মো. শাহজাদা রনি, মিরাজ, মাওলানা আবুল কালামসহ অটোরিকশার ড্রাইভার ও যাত্রীরা।
সূত্রে জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যায় একটি অটোবাইক ও মোটরসাইকেলসহ ১০ থেকে ১৫ জন লোক ব্রিজটি পারাপারের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। আগামী ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার মাদরাসায় বিভিন্ন পদে নিয়োগের কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য মাদরাসার সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন খান ঢাকা থেকে প্রাইভেট কারযোগে মহিষকাটা বাজারে এসে পৌঁছান।
এ খবর পেয়ে মাদরাসার সুপারসহ অন্যান্য শিক্ষক ও অফিস সহকারী মহিষকাটা বাজারে সভাপতিকে অভ্যর্থনা জানাতে গাড়িযোগে ব্রিজের ওপর দিয়ে রওনা হন। ওই সময় অন্যদিক থেকে আরো একটি ইজিবাইক যাত্রী নিয়ে ওঠায় পারাপারের সময়ে ব্রিজটি ধসে পরে। ব্রিজের ওপর থেকে সকলে নদীতে পড়ে যান। আহতদের অনেকেই সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হলেও মাদরাসা সুপার নিখোঁজ হন। নিখোঁজ হওয়ার দু ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থল থেকে ২শ ফুট দক্ষিণ দিক থেকে মাদরাসা সুপারের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। আহতদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই ঘটনার পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সরোয়ার হোসেন, মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ শওকত আনোয়ার ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে দু ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। এছাড়াও বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।
পটুয়াখালী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর ছত্তার বলেন, মির্জাগঞ্জে যে কয়টি ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ রয়েছে তা সরেজমিনে পরিদর্শন করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক স্যারকে অবহিত করাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। যাতে ওই স্থানে অতি দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা করা হয়।