টিটিই শফিকুল সম্পূর্ণ নির্দোষ : তদন্ত কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৫ পিএম, ১৬ মে,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৪:০৯ এএম, ১৮ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেওয়া তিন যাত্রীকে জরিমানা করে আলোচিত ট্রেনের টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম সম্পূর্ণ নির্দোষ।
এ ঘটনায় হওয়া তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আজ সোমবার গণমাধ্যমের কাছে এসব তথ্য জানান পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম।
তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে শাহীদুল বলেন, ট্রেনের এক গার্ড শরিফুল ইসলামের সঙ্গে টিটিই শফিকুল ইসলামের ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল। এ জন্য ওই তিন যাত্রীকে প্ররোচিত করে টিটিই শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল। টিটিই শফিকুলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগকারী ইমরুল কায়েস তদন্ত কমিটির কাছে দেওয়া বক্তব্যে বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা (এটিও) সাজেদুল ইসলাম আজ বেলা ১১টা ২০ মিনিটে দিকে শাহীদুল ইসলামের কার্যালয়ে গিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। সাজেদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগকারী, টিটিই, ঘটনাস্থলে উপস্থিত আরও কয়েকজনসহ মোট নয়জনের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। সুপারিশসহ মোট ৪০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
শাহীদুল ইসলাম বলেন, গার্ড শরিফুল ইসলামকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শরিফুলের জবাব পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই দিনের ঘটনার সঙ্গে রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে শাহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর যে কর্মকর্তা (বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন) টিটিই শফিকুলকে বরখাস্ত করেছিলেন, তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পেলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। আজকে যে তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি, সেটা ছিল ট্রেনের ভেতরের ঘটনার বর্ণনা।’
৫ মে রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে বিনা টিকিটে তিন যাত্রী ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তাঁরা ট্রেনের এসি কামরায় বসে ছিলেন। তাঁদের কাছে ভাড়া চাইলে টিটির সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে ওই তিন যাত্রী রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দেন। শফিকুল ইসলাম তাঁদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০ টাকা ভাড়া নিয়ে এসি কামরা থেকে শোভন কামরায় পাঠান। ওই তিন যাত্রী শোভন কামরাতেই ঢাকায় পৌঁছান। এর কিছুক্ষণের মধ্যে মুঠোফোনে টিটিই শফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।