ফেনীতে বহিরাগত ঠিকাদারের কাজ করার কোন সুযোগ নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:১৫ পিএম, ১২ মে,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৫২ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কারকাজের ঠিকাদারি নিয়ে বিরোধে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
গতকাল বুধবার (১১ মে) দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত ব্যক্তি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন। তিনি নির্মাণ বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার।
এ হামলার জন্য আহত রবিউল হোসেন দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফেনী জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবিরকে দায়ী করেন। তবে দিদারুল কবির এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, তিন মাস আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংস্কারকাজের জন্য ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়।
পরে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্মাণ বিল্ডার্স কাজটি পায়। গত ১০ এপ্রিল দরপত্রের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজ বুঝে নিতে গতকাল ফেনী স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলামের কাছে দাগনভূঞা হাসপাতালে যান রবিউল।
এ সময় ৮-১০ জন যুবক তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা করে পিটিয়ে জখম করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের লোকজন এসে তাঁকে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হোসেন বলেন, 'হামলাকারীদের হাতে লাঠি ও লোহার রড ছিল। হামলার সময় তারা বলছিল, দিদার ভাইয়ের (দিদারুল কবির) অনুমতি ছাড়া কেন এখানে কাজ করতে এসেছেন।' ফেনীতে বহিরাগত ঠিকাদারের কাজ করার কোন সুযোগ নেই'।
দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ বিষয়ে তিনি অবগত নন।
এর আগে সোনাগাজীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক ঠিকাদারকে চাঁদার দাবীতে পিটিয়ে জখম করে, নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে যুবলীগ নেতারা।
অপরদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দরপত্র জমা দেয়ার পর ঠিকাদারকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা চালায় শর্শদি ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম।