সঙ্গীত শিল্পী মনিমালাকে কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদে ভালুকায় মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৬ পিএম, ৮ মে,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৫৩ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
ময়মনসিংহের ভালুকায় উদিয়মান বাউল সঙ্গীত শিল্পী মনিমালা সরকারের উপর নির্যাতন এবং কুপিয়ে আহত করার প্রতিবাদসহ জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছে ভালুকার শিল্পী সমাজ।
আজ রবিবার (৮ মে) দুপুরে ভালুকা উপজেলা পরিষদের সামনে ভালুকা-গফরগাঁও সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়।
ভালুকা শিল্পী ও বাউল শিল্পী সমিতির আয়োজনে এ কর্মসুচীতে আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাজী আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় বাউল শিল্পী সমিতির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সহসভাপতি বাবু সুনীল কর্মকার, ভালুকা আফছার বাহিনী সাংস্কৃতিক গোষ্টীর সভাপতি নাজমুল রাহী নাজিম, সুরবীণা সাংস্কৃতিক সংস্থা’র নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম রফিক, সুরলহরী সঙ্গীত বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রবীর ভৌমিক, সুরধ্বনী শিল্পী কল্যান গোষ্টীর মহাসচিব বিজয় সরকার, সৃষ্টি শিল্পকলা একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, ভালুকা সঙ্গীত বিদ্যালয়ের পরিচালক আলী আহসান কবীর, গীত সঙ্গীত বিদ্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক আসাদুজ্জামান জামাল, কলকাকলী সঙ্গীত বিদ্যালয়ের পরিচালক সুজন খান, সপ্তসুর সঙ্গীত বিদ্যালয়ের পরিচালক আশিকুর রহমান শ্রাবন, সারগাম কালচারাল একাডেমীর সভাপতি উসমান গনি তুহীন, উপজেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মলয় নন্দী মানিক, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, মনিমালা সরকারের স্বামী নুহু মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধন কর্মসুচীতে অংশ নেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাউল শিল্পীসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের কলাকুশলী ও নেতৃবৃন্দ। পরে উপজেলা ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুনের নিকট একটি স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৫ই মে বাড়ীর আঙ্গিনায় দিন দুপুরে দুর্বৃত্তরা মনিমালাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে ফেলে যায়। এ ঘটনায় ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা হলে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। মামলায় অভিযুক্ত মুল আসামীসহ অন্যরা এখনো পলাতক রয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করেন অন্যথায় কঠোর কর্মসুচী নেয়া হবে বলে ঘোষনা করেন। শিল্পী সমাজের এ কর্মসুচীতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকজন সংহতি জানিয়ে অংশ নেন।