মুক্তাগাছা পৌর নির্বাচনে হামলা ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৯ এএম, ১৩ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২১ | আপডেট: ১১:০২ এএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌরসভা নির্বাচনে প্রচার কাজে বাধা প্রদান, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ও সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলা ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির মেয়র পদ প্রার্থী মো. শহিদুল ইসলাম।
আজ মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ নগরীর গঙ্গাদাস গুহ রোডের এক বাসায় তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে আমি যখন প্রচার কাজে অংশ নেই তখনই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মোটরবাইক নিয়ে রাস্তায় গতিরোধ করে। আমাদের কর্মীদের মারধর করে লিফলেট ছিনিয়ে নেয়। প্রতিদিনই ধানের শীষের মাইকিংসহ প্রচার কাজে বাধা দিচ্ছে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকিও দিচ্ছে।’
তিনি জানান, সোমবার পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের নন্দিবাড়ি ও বড়হিস্যা বাজার মেইন রোডে ধানের শীষের প্রচারণাকালে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সরকার দলীয় প্রার্থীর কর্মীরা হামলা চালায়। এতে বিএনপি সমর্থক কাজী রিপন, জাবেদ সজীব ও তারা মিয়া মারাত্মকভাবে আহত হন। এদের মধ্যে কাজী রিপন ও তারা মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি যাতে পৌর এলাকায় ধানের শীষের কোনো নির্বাচনি অফিস চালু করতে না পারি এবং আমার নেতাকর্মীরা যেন একত্রিত হতে না পারে সেজন্য সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা বাধার সৃষ্টি করছে।’ তিনি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সেজন্য কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু বলেন, নির্বাচনি মাঠে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায় ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী। ভোটের মাঠে জনপ্রিয়তা সঙ্কটে এখন সে সরকার দলের ক্ষমতা ব্যবহার করে প্রকাশ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলছে। লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান রতন, সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হারুন, পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি শওকত রানা, শ্রমিকদলের জেলা সভাপতি মফিদুল ইসলাম মোহন, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ, যুবদলের জেলা সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দিদারুল ইসলাম রাজুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।