উপজেলায় বিউটি পারলার করবে সরকার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪৮ পিএম, ১২ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ১০:৪০ এএম, ১৩ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
দেশে বিউটি পারলার বা সৌন্দর্যচর্চা সেবাকেন্দ্র বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে রাজধানী ও বিভাগীয় শহরগুলো ছাড়িয়ে জেলা–উপজেলা পর্যায়েও গড়ে উঠছে বিউটি পারলার। সরকারও এই খাতকে বিকশিত করতে চায়। তাই নতুন নারী উদ্যোক্তা তৈরির জন্য দেশের ৮০টি উপজেলায় বিউটি পারলার স্থাপন করে দেবে।
জানা গেছে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ৪৪১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, এর আওতায় আড়াই লাখ নারীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যেটি এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এটি বাস্তবায়ন করবে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পটির আওতায় বিউটি পারলারের পাশাপাশি সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য ৮০টি ফুড কর্নারও করে দেওয়া হবে। নির্বাচিত ৮০টি উপজেলায় নারীদের জন্য স্থাপন করা হবে বিক্রয় ও প্রদর্শনীকেন্দ্র।
যেসব নারী জাতীয় মহিলা সংস্থার মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে প্রশিক্ষণ নেবেন, তাঁদেরকেই বিউটি পারলার, ফুড কর্নার ও বিক্রয়কেন্দ্র করে দেওয়া হবে। ৫ থেকে ১০ জন মিলে একেকটি বিউটি পারলার পরিচালনা করবেন। একই পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে ফুড কর্নার ও বিক্রয়কেন্দ্র। তাঁদের এককালীন টাকা দেবে সরকার। একই সঙ্গে বিউটি পারলার সাজাতে যেসব উপকরণ প্রয়োজন হয়, সেসবও সরবরাহ করা হবে। তবে বিউটি পারলার, ফুড কর্নার এবং বিক্রয় ও প্রদর্শনীকেন্দ্র ভাড়া নিতে হবে নারী উদ্যোক্তাদের।
পরীক্ষামূলকভাবে দেশে ১৪টি বিউটি পারলার স্থাপন করে সফলতা পাওয়ার পর নতুন করে আরও ৮০টি গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ‘তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
প্রকল্প তৈরির প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ পুরুষের তুলনায় অনেক কম। তাই আমরা কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে চাই। একজন নারী যাতে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন, সে জন্য আমরা তাঁকে প্রশিক্ষণ দেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
জাতীয় মহিলা সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নেওয়া প্রকল্পে ইতিবাচক ফল মিলেছে। আগে জেলা পর্যায়ে সরকারের এই কার্যক্রম থাকলেও সেটি এখন উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, যাতে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র নারীরাও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যের আলোকে অপেক্ষাকৃত দরিদ্র এমন ৮০টি উপজেলা বাছাই করা হয়েছে এই প্রকল্পের জন্য। এর মধ্যে কয়েকটি হলো ঢাকার সাভার, মানিকগঞ্জের ঘিওর, নরসিংদীর রায়পুরা, গাজীপুরের কালিগঞ্জ ও নীলফামারীর ডিমলা। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ এটি বাস্তবায়ন করা হবে।