সিরাজগঞ্জ পৌরসভা মেয়র নির্বাচনে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৬ এএম, ১২ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০১:২৯ এএম, ২৫ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
বিএনপি স্থানীয় কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর সহধর্মিণী ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য বেগম রুমানা মাহমুদ সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী সাইদুর রহমান বাচ্চুকে নির্বাচিত করার জন্য তিনদিন ধরে গণসংযোগ করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যেয়ে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করছেন।
আজ সোমবার (১১ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত ১০ নং ধানবান্ধি ওয়ার্ডের রাস্তা ঘাট,অলিগলি ঘুরে ঘুরে ভোটারদের নিকট ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থী মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চুর সহধর্মিণী তানজিলা হক পাখি ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ ধানের শীষের বিপুল সংখ্যক নারী প্রচার কর্মীরা সাথে ছিলেন।
পরে ইবি রোডস্থ হরিজন কলোনীতে এক নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম রুমানা মাহমুদ বলেন, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচিত চেয়ারম্যান-মেয়ররাই হরিজন সম্প্রদায় ও হরিজন কলোনীর বিপুল উন্নয়ন করেছে।
তিনি বলেন, ১৬ জানুয়ারী তারিখে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনের দিন ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে তাদের পছন্দর প্রার্থীকে ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের বিপুল বিজয় হবে,কারণ সিরাজগঞ্জ হচ্ছে বিএনপির দুর্গ, এখানকার গণতন্ত্র প্রিয় সংগ্রামী মানুষেরা সব সময় বিএনপিকে উজাড় করে ভোট দিয়েছে এবং মেয়র নির্বাচনেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে-ইনশাআল্লাহ।
এ সময় বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থী বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান বাচ্চু তার বক্তব্যে বলেন, ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে আওয়ামী লীগে মেয়র প্রার্থীর মাথা খারাপ হয়ে গেছে,আবোলতাবোল মিথ্যা কথা বলে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছেন। তিনি বলেন,ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কোন লাভ হবে না,সিরাজগঞ্জের সংগ্রামী জনগণ জেগে উঠছে,তারা সাহসীকতার সাথে ভোট কেন্দ্রে যেয়ে তাদের পছন্দর প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ভোটের ফলাফল নিয়েই বিজয়বেশে ঘরে ফিরবে।
এ সময় জেলা বিএনপির সহ সভাপতি অমর কৃষ্ণদাস,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল হাসান রনজন সহ হরিজন সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন এবং বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্হিত ছিলেন।