ধর্মপাশায় খুন-সাংসদ, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৬৩ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ১০ জানুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৭:১৪ এএম, ১১ নভেম্বর,সোমবার,২০২৪
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুনই জলমহাল দখল নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক জেলে নিহতের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিহতের ছেলে ও সুনই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির কো-অপ্ট (বিশেষ বিবেচনায়) সভাপতি চন্দন বর্মণ। অভিযোগপপত্রে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনসহ অপর দুই ভাই মোবারক হোসেন মাসুদ ও মোবারক হোসেন যতনসহ ৬৩ জনকে আসামি করে ধর্মপাশা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
ধর্মপাশার থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বললেন, শ্যামাচরণ বর্মণ নামের জেলে খুন হবার ঘটনার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেখানে এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম আছে কিনা তদন্তের স্বার্থে এখনই বলা যাবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান বলেন, মনাই নদী প্রকাশিত সুনই জলমহালটি নিয়ে সমিতির দুটি পক্ষের মধ্যে উচ্চ আদালতে মামলা চলছে। আদালতের নির্দেশে জলমহালে এখন স্থিতাবস্থা রয়েছে।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের জানামতে ঘটনার দিন সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সুনামগঞ্জে ছিলেন। এরপরও তাকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের হওয়ায় মামলা গ্রহণে বিলম্বে হচ্ছে। যেহেতু সংসদ সদস্য ওখানে ছিলেন না, তাকে এভাবে আসামি করে মামলা গ্রহণ করলে যে কেউ যেকোনো সময় আসামি হয়ে যেতে পারে। এই বিষয়টি চিন্তা করে দেখছি আমরা।
সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, ঘটনার দিন আমি ধর্মপাশায় ছিলাম না। আমি এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবি করছি এবং জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক। তবে আমাকে ও আমার পরিবারকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জড়ানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছে।