৬১৯ কোটি টাকা কেলেঙ্কারি, আদালতে প্রক্সি দিতে আটক যুবক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১১ এএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:০১ এএম, ২০ নভেম্বর,
বুধবার,২০২৪
৬১৯ কোটি টাকার সার কেলেঙ্কারি মামলার প্রধান আসামি সেজে আদালতে প্রক্সি হাজিরা দিতে এসে ফাহিম নামে এক যুবক আটক হয়েছেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকার উত্তর বন্দরে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আদালতের নাজির রেজোয়ান খন্দকার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, সার কেলেঙ্কারিতে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার নবাব খানের নামে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলা আছে। সেই মামলায় প্রধান আসামি নবাব। তার পরিবর্তে মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান ফাহিম। শুনানি শেষে আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন মহানগর হাকিম। সে অনুযায়ী, ফাহিমকে আদালতের গারদখানায় নেয়ার পথে তিনি চিৎকার শুরু করেন।
তিনি বলতে থাকেন, ‘আমাকে বলা হয়েছে জামিন হয়ে যাবে। এখন জামিন হলো না। আমি প্রকৃত আসামি নই। নবাব খানের হয়ে আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলাম।’ এরপরই বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়। কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, অর্থ বা বড় কোনো স্বার্থের বিনিময়ে হয়তো নবাব খান সেজে হাজিরা দিতে এসেছিলেন ফাহিম। বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ইউরিয়া সার উৎপাদনের পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি করে থাকে। সরকারি এসব সার সমুদ্রবন্দর থেকে পরিবহন করে বিভিন্ন জেলার গুদামে পৌঁছে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আমদানির সার বন্দর থেকে নিলেও গুদামে পৌঁছায়নি নবাব অ্যান্ড কোম্পানি। ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে ৬৬ হাজার ৮৭৪ টন সার এখনও সরবরাহ করা হয়নি। এই সারের দাম প্রায় ৬১৯ কোটি টাকা। বিসিআইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব সার কার্যাদেশ পাওয়ার ৫০ দিনের মধ্যে পৌঁছানোর কথা ছিল। বিসিআইসি থেকে কয়েক দফা তাগিদ দেয়ার পরও কাজ হয়নি। সর্বশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর সার সরবরাহ করে চুক্তি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয়া হয়। অন্যথায় দেওয়ানি ও ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়। এরপরও বিসিআইসির গুদামে সার পৌঁছায়নি নবাব। এ ঘটনায় ২৩ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির মালিক নবাব খানের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়।