বীর বিক্রম পরিচয় দিয়েও চিকিৎসা সেবায় অবহেলার অভিযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:৪১ এএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ০৯:১১ এএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বীর বিক্রম পরিচয় দেবার পরও চিকিৎসা সেবায় অবহেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক (৮০) বীর বিক্রমকে রোববার দুপুরে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষার জন্য পৌনে ১ টার দিকে প্যাথলজি বিভাগে গেলে সংশ্লিষ্ট ইনচার্জ দুপুর ১২টার মধ্যে নমুনা সংগ্রহের সময় শেষ বলে জানিয়ে দেন।
আজ রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ১ টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।
বীর বিক্রম আবদুল মালেক নোয়াখালীর সদর উপজেলার এজবালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
আবদুল মালেক বীর বিক্রমের ছেলে মো. আবদুল জলিল জানান, ডাক্তার কিছু পরীক্ষা দিলে ল্যাবরেটরির ইনচার্জ মো. আলী জুয়েলের কাছে যাই। সেখানে বাবার পরিচয় দিলে উনি বলেন, আমাকে হাইকোর্ট দেখাবেন না। ১২ টায় প্যাথলজি বিভাগ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ আর কোনো পরীক্ষা নিরিক্ষা হবেনা।
মো. আবদুল জলিল আরও বলেন, পরবর্তীতে আবার আবাসিক মেডিকেল অফিসারের কাছে গেলে তিনি ইমার্জেন্সি লিখে দিলে তারপর উনি নমুনা সংগ্রহ করেন। কিন্তু ফলাফল আজ (রবিবার) দিবেন না বলে জানান। আগামীকাল ফলাফল পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে বাবার শরীরের অবস্থা খারাপ হওয়ায় আমরা ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে প্যাথলজি বিভাগের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও ইনচার্জ মো. আলী জুয়েল বলেন, আমাদের নমুনা সংগ্রহের শেষ সময় দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। উনি ১ টার পর নমুনা দিতে এসেছেন। উনার আরেকটা পরীক্ষা থাকায় আমি উনাকে আগামীকাল আসতে বলেছি। পরবর্তীতে দেড়টার দিকে নমুনা সংগ্রহ করেছি। তারপর শুনলাম উনি ঢাকায় চলে গেছেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিন এমন অভিযোগের বিষয়ে জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। আগামিকাল (সোমবার) তাকে লিখিতভাবে শোকজ করবো। পুরো বিষয়টি নিয়ে আরএমও, সহকারী পরিচালকসহ আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।