না’গঞ্জে তৈরী পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড কয়েকশ কোটি টাকা ক্ষতির সম্ভবনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫১ এএম, ২৯ জানুয়ারী,শনিবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৪২ পিএম, ২১ নভেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নারায়ণগঞ্জে রপ্তানীমুখী একটি তৈরী পোশাক কারখানার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বন্দর উপজেলার মদনপুরে অবস্থিত জাহিন নিটওয়্যার লিমিটেডে অগ্নিকান্ডের ওই ঘটনা ঘটে। তবে শুক্রবার প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনার সময় প্রতিষ্ঠানে শুধু ২০ জন নিরাপত্তা রক্ষী প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন। অগ্নিকান্ডে কয়েকশ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে মালিকপক্ষ। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের যারা আশপাশে বসবাস করেন তারাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
খবর পেয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ডেমরা, সোনারগাঁও ও বন্দর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। রাত সাড়ে ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপ সহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন।
এদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বন্দরের মদনপুর অংশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হওয়ায় সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। অপর অংশ দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়।
জাহিন নিটওয়্যারের মালিক এম জামাল উদ্দিন বলেন, শুক্রবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের নিচ তলায় থাকা ডাইং সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে নিরাপত্তা রক্ষীদের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন। খবর পেয়ে তিনি দ্রুত প্রতিষ্ঠানে চলে আসেন। তবে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে সেটি সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে পারেননি।
জামাল উদ্দিন আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে রপ্তানীর জন্য তৈরী করে রাখা প্রচুর তৈরী পোশাক মজুদ ছিল। সেগুলো আগুনে পুড়ে গেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানে থাকা যন্ত্রাংশও পুড়ে গেছে। বলতে গেলে একটি প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি ধংস হয়ে গেছে এই আগুনে। তিনি দাবি করেন, আগুনে ক্ষতির পরিমান হবে কয়েকশ কোটি টাকা।
নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ৩টি ভবন রয়েছে। এর দু’টি তিন তলা এবং একটি দোতলা। আগুন প্রতিটি ভবনেই ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে প্রতিটি ভবনে থাকা যন্ত্রাংশের পাশাপাশি তৈরী করে রাখা পোশাক পুড়ে গেছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করতো।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপ সহকারি পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, আগুনের সূত্রপাত তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। ক্ষতির পরিমানও তদন্তেই উঠে আসবে। ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক দিনু মনি শর্মা শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় জানান, আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না এলেও এটি আর বাড়ার কোন সম্ভবনা নেই। তারা কাজ করছেন।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অগ্নিকান্ডের কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল কিছু সময় বন্ধ ছিল। তবে পুলিশ সড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল সচল রাখার কাজ করছে।