মেয়র প্রার্থী হয়েছেন দুই নৈশপ্রহরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২২ এএম, ৭ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ১০:১৮ এএম, ২২ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
নৈশপ্রহরী থেকে পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহীর দুই ব্যক্তি। একজন প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভায়। আরেকজন প্রার্থী জেলার তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা পৌরসভায়। ভবানীগঞ্জের এই প্রার্থীর নাম কামাল হোসেন। নির্বাচনে তার প্রতীক নারিকেল গাছ। আর মুণ্ডুমালার প্রার্থীর নাম সাইদুর রহমান। তার প্রতীক জগ। নির্বাচনে আসার আগে কামাল হোসেন চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে সাইদুর রহমান এখনও চাকরি করছেন। ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন।
সাইদুর রহমান মুণ্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। চাকরি না ছাড়লেও তিনি দল থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি মুণ্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের নৈশপ্রহরী। কামাল হোসেন চাকরি করতেন ভবানীগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত ১৫ ডিসেম্বর তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পৌঁছে দিয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাইদুর রহমান আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোট করছেন। কামাল হোসেন স্বতন্ত্র নির্বাচন করলেও তার পেছনেও দলীয় কিছু নেতাকর্মীর ইন্ধন রয়েছে। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্রলীগ করতেন। ২০১৩ সালে দফতরি-কাম-নৈশপ্রহরী পদে যোগ দিয়ে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হন। ভবানীগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেলিনা খানম বলেন, কামাল হোসেন ইস্তফা দিয়ে নির্বাচনে মেয়র পদে দাঁড়িয়েছেন। তার প্রার্থিতা নিয়ে প্রধান শিক্ষক কোনো মন্তব্য করেননি।
প্রার্থী কামাল হোসেন বলেন, ২০০৫ সাল থেকে আমি ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছি। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থেকেছি। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হব। মুণ্ডুমালা মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম বুধবার দুপুরে বলেন, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সাইদুর রহমান দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৫ দিনের ছুটি নিয়েছেন। তিনি মেয়র পদে নির্বাচন করছেন। প্রার্থী সাইদুর রহমান বলেন, ভোটের প্রচার-প্রচারণা চলছে। কামনা করছি ফেয়ার ভোট হোক। তাহলেই আমি বিজয়ী হব। মানুষ আমার পাশে রয়েছেন। সাইদুর রহমান জানান, দলীয় পদ থেকে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পদত্যাগপত্রও প্রস্তুত করেছেন। বুধবারের মধ্যে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির কাছে তা পৌঁছে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১৬ জানুয়ারি ভবানীগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে মোট চারজন মেয়র প্রার্থী। কামাল হোসেন ছাড়া অন্য প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আবদুল মালেক, বিএনপির আবদুর রাজ্জাক প্রামাণিক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মামুনুর রশীদ।
তৃতীয় ধাপে ৩০ জানুয়ারি মুণ্ডুমালা পৌরসভার ভোটগ্রহণ। এখানে মোট প্রার্থী তিনজন। সাইদুর রহমান ছাড়া অন্য দুইজন হলেন- আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমিন ও বিএনপির ফিরোজ কবীর।