ট্রেনেই সিন্দুক থেকে টিকেট বিক্রির ৯৪ হাজার টাকা গায়েব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৯ এএম, ৭ জানুয়ারী,বৃহস্পতিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:২১ পিএম, ১৯ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম-নোয়াখালী রুটের ছয়টি স্টেশনের টিকেট বিক্রির ৯৪ হাজার ৭শ টাকা গায়েবের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। সিলগালা করে বিশেষ সিন্দুকে ভরে ট্রেনে করে টাকা আনার সময় পথে টাকাগুলো হাওয়া হয়ে যায়।
ট্রেনে সিন্দুক থেকে টাকা লোপাট হয়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দফতর থেকে জানা গেছে, ঢাকা-নোয়াখালী রুটের ৬টি স্টেশনের টিকেট বিক্রির ৯৪ হাজার ৭শ টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। গত ২৯ ডিসেম্বর নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেনের এসব টিকেট বিক্রি করা হয়।
টিকেট বিক্রির দিনই টাকাগুলো সিলগালা করে সিন্দুকে ঢুকিয়ে লাকসাম স্টেশন মাস্টার বরাবর পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে লাকসাম স্টেশন মাস্টার সিন্দুকটি গার্ড থেকে বুঝে নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে আসা চট্টগ্রামগামী নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে তুলে দেন। ট্রেনের গার্ড চট্টগ্রাম পে অ্যান্ড ক্যাশ অফিসে সিন্দুকটি বুঝিয়ে দিতে গেলে দেখা যায় সিন্দুকটির তালা ভাঙা। সিন্দুক থেকে হাওয়া হয়ে যায় টাকাগুলো।
ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান (সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা) গত ২ জানুয়ারি এ ঘটনা তদন্ত করতে লাকসাম গিয়েছিলেন। সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের পাশাপাশি কুলিদের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন বলে তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা জানান।
জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী টাকা বহনে রেলওয়ের আরএনবি বা জিআরপি পুলিশ থাকার কথা৷ এই টাকাগুলো পরিবহনে তাদের কাউকে রাখা হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্টেশনের টাকাগুলো মাস্টারের তত্ত্বাবধানে থাকে। অনেক সময় মাস্টাররা টাকাগুলো নিয়ে যান। আবার ১০/১৫ দিন পর এক সাথে নিয়ে আসেন। তবে টাকাগুলো ট্রেনে করেই আসে। টাকা অল্প হলেও যে-ই এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসেন জানান, এটা নিছক একটা চুরি। এই ব্যাপারে বিভাগীয় পর্যায় থেকে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কারো অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিভাগীয় পর্যায় থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।