নীলফামারীর চাড়ালকাটা নদীর লুপকাটিং’র মাটি ও বালু লুটের মহোৎসব
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫০ পিএম, ৪ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০১:২৭ পিএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় নিতাই ইউনিয়নে চাড়ালকাটা নদীর লুপ কাটিং’র মাটি ও বালির লুটের মহোৎসব চলছে।
কাজ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক শ্রেণির দায়িত্বরত কর্মকর্তার যোগসাজসে অবৈধ উপায়ে বালু ও মাটি লুট করে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মাটি বিক্রেতা সিন্ডিকেট। স্থানীয়রা এ ঘটনায় সৈয়দপুর পওর’র নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে।
সরেজমিন ও স্থানীয়দের অভিযোগসুত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে চাড়ালকাটা নদী লুপ কাট খনন কাজের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ২ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এখানে ৭শ ৫০ মিটার মাটি খনন করা হবে। প্যাকেজ নম্বর- লুপ-১/চাড়ালকাটা/সৈয়দপুর।
এ প্রকল্প এলাকার মাটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দরপত্র বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও মানছেন না সিন্ডিকেট চক্র। অবাধে দিনে ও রাতে বালু বিক্রির মহোৎসব চলছে। প্রকল্প এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীরা বালু ও মাটি বিক্রির সাথে জড়িত। ওই প্রভাবশারীরা সংশ্লিষ্ট কার্য সহকারী মোরশেদুল আলম রতনের নিকট আত্বীয় বলে জানা গেছে। ফলে দেদারছে চলছে বালু বিক্রি। দিনের বেলা ছোট ও বড় ট্রাকটর দিয়ে বালু ও মাটি পাচার করা হয়। রাতে চলে ড্রাম ট্রাক। ওই ট্রাক বিভিন্ন স্থানে বালু পরিবহন করে। এতে বিপুল অর্থের মালিক হচ্ছে ওই চক্রটি।
বিভিন্ন স্থানে বালু ও মাটি পাচার হওয়ার কারণে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে। এ ব্যাপারে কার্য সহকারী মোরশেদুল আলম রতনের সাথে কথা হলে তিনি ওই চক্রটির সাথে আত্বীয়তার কথা স্বীকার করেন। তবে বালু ও মাটি পাচারের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বালু ও মাটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর পওর’র নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষ্ণ কমল সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি- ঘটনাটি অবিলম্বে তদন্ত করে দেখা হবে।