একযোগে ৩৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলির আদেশে তোলপাড় বাংলাদেশ পরমাণুু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৭ এএম, ৫ জানুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২১ | আপডেট: ০২:০০ এএম, ১৬ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
বাংলাদেশ পরমাণুু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটে (বিনা) এক আদেশে ৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলীর ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে দেশের স্বনামধন্য এ প্রতিষ্ঠানের ভেতরে-বাইরে। তবে বদলির আদেশে কোনো ধরনের ক্ষোভের প্রকাশ নেই এবং তা স্বাভাবিক বদলি কার্যক্রমের অংশবিশেষ বলে দাবি করেছেন বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
সূত্র জানায়, এর আগে বিগত বছরের ২৪ ডিসেম্বর এক আদেশে বিনার ৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলির আদেশ দিয়েছেন মহাপরিচালক। বিনার বিজ্ঞানী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ হারুন অর রশিদ দাবি করেন, হঠাৎ এ ধরনের বদলির আদেশে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে দেশের কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম। বিষয়টি বিচেনায় নিয়ে ইতিমধ্যে বিনার বিজ্ঞানী সমিতির পক্ষ থেকে বদলি আদেশে কিছু অসঙ্গতি ও পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে রেজুলেশন আকারে মহাপরিচালকের কাছে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।
ভুক্তভোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর বর্তমান ডিজি বিনার বিজ্ঞানী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে এবং তার সহধর্মিণী শামসুন্নাহার বেগম যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচন করেছিলেন। ওই নির্বাচনে তারা বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হন। মূলত ওই ক্ষোভের কারণেই এ বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে। তবে এ ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম।
তিনি বলেন, ইনটেনশনালি কারো কারো অভিযোগ থাকতে পারে। তবে বদলির আদেশে কোনো ক্ষোভ বা অনিয়ম নেই। তিনি দাবি করেন, বদলিকৃত ৩৫ জনের মধ্যে এক যুগের অধিক সময় ধরে বাইরে থাকা ৯ জনকে হেড অফিসে আনা হয়েছে। বাকি ২৬ জনের মধ্যে ২২ জন বিজ্ঞানীকে ইন্টারনাল বদলি করা হয়েছে এবং বাকি আরো ৪ জনের মধ্যে ৩ জন চাকরি জীবনে কোনো দিন বদলি হয়নি এবং মাত্র একজনকে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে দ্বিতীয় বার বদলি করা হয়েছে।
ডিজি আরো বলেন, সারাদেশে বিনার মোট ১৩টি উপকেন্দ্র রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে এসব বদলি করা হয়। এতে ইনটেনশনালি মাত্র দুই-তিনজন নাখোশ হতে পারে। তবে এ বদলির আদেশ স্বাভাবিক বদলি কার্যক্রম মাত্র।