বাউফলে পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৬ এএম, ২ জানুয়ারী,শনিবার,২০২১ | আপডেট: ০২:৪১ পিএম, ১২ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
পটুয়াখালী বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউপির মহশ্রাদিন গ্রামে ফারজানা আক্তার নামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পৈশাচিক কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে। ঘরের মধ্যে ঢুকে তাকে পিটানো হয়। চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে এলোপতাড়িভাবে লাথি মারা হয়। গায়ের সেলোয়ার কামিজ ছিঁড়ে বিবস্ত্র করা হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওই অবস্থায়ও তাকে মারধর করা হয়। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, ফারজানা নামের ওই শিক্ষার্থীর বাবা বেল্লাল হোসেন ও তার মা ফরিদা বেগম একটি মারামারি মামলার দুই ও পাঁচ নম্বর সাক্ষী ছিল। মামলার বাদী হলেন সখি বেগম। এ মামলায় বেল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী ফরিদা বেগম সাক্ষী হওয়ায় আসামি বাবুল সিকদার ও বাদশা সিকদার গংরা ক্ষুব্ধ হন।
প্রথম দফায় গত ২৯ ডিসেম্বর ওই মামলার আসামিরা বেল্লাল সিকদারের বসত ঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং তাকেসহ স্ত্রী ফরিদা বেগম ও মেয়ে ফারজানাকে মারধর করে। ফারজানা আতশখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ৩০ ডিসেম্বর সখি বেগম তার সাক্ষীদের মারধরের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করলে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে বাবুল সিকদার গংরা দ্বিতীয় দফায় বেল্লাল সিকদারের বতসঘরে ঢুকে ভাঙচুর করে এবং তার স্ত্রী ও মেয়েকে মারধর করে।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ফারজানা একই বাড়িতে তার চাচা সফিল্লাহর ঘরে গেলে বাবুল সিকদার তার ভাই বাদশা সিকদার ও বোন মুক্তা বেগম ওই ঘরে ঢুকে তাকে পেটাতে থাকেন। এরপর চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফেলে এলোপতাড়িভাবে লাথি মারেন। গায়ের সেলোয়ার কামিজ ছিড়ে প্রায় বিবস্ত্র করেন। একপর্যায়ে ছাত্রীটি অজ্ঞান হয়ে পরলে ওই অবস্থায়ও তাকে মারধর করা হয়।
এই ঘটনার পর বাড়ির লোকজন ফারজানাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী জেনারেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ফারজানার বাবা বেল্লাল সিকদারও হামলার শিকার হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।