ফরিদপুরে অপারেশন করে পেট থেকে বের করা হলো কাঁচি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৩ এএম, ১২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৬:০৮ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
তিন ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর রুগীর পেট থেকে বের করা হয়েছে কাঁচি। এই কাঁচিটি পেটের ভিতর রেখেই সেলাই করে দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনো জ্ঞান ফেরেনি মনিরা খাতুনের (১৮)।
আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রতন কুমার সাহা। মনিরা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ঝাটিগ্রামের খায়রুল মিয়ার মেয়ে। ২০২০ সালের ৩ মার্চ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেটে টিউমার নিয়ে তিনি ভর্তি হন। সাতদিন পর তার অপারেশন করা হয়। এ সময় মনিরার পেটে কাঁচি রেখেই সেলাই করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুর রহমান বলেন, শনিবার দুপুরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মনিরার পেট থেকে কাঁচিটি বের করা হয়। তবে তার জ্ঞান ফেরেনি এবং এখনো শঙ্কামুক্ত নয়।
ডা. রতন কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি বেশ জটিল ছিল। কারণ কাঁচিটি দুই বছর ধরে পেটের ভেতরে থাকায় অপারেশন করারও ঝুঁকি ছিল। এরপরও তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে কাঁচিটি বের করতে সক্ষম হই। দীর্ঘদিন ধরে কাঁচিটি থাকার কারণে তার পেটের নাড়ির কিছু অংশে পচন ধরেছে। পচনগুলো কেটে ফেলতে হয়েছে। এমনও হতে পারে তার কৃত্রিম নাড়ি লাগানো লাগতে পারে। মনিরার এখনও জ্ঞান ফেরেনি। তাই জ্ঞান ফেরা ও সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।
এর আগে এই ঘটনা প্রকাশ পেলেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মনিরাকে ভর্তি করেন।