সৈয়দপুরে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষিত, ধর্ষকের আত্মহত্যার চেষ্টা, পরে পলায়ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ১০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২১ | আপডেট: ০৯:০২ এএম, ২৩ নভেম্বর,শনিবার,২০২৪
সৈয়দপুরে ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আটক ধর্ষক জনরোষ থেকে বাঁচতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ধর্ষক ২ সন্তানের জনক ফয়সাল (২৭)। এ সময় লোকজন আহত ধর্ষককে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করলে সে গ্রেফতার এড়াতে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর শহরের গোলাহাট কবরস্থান এলাকায় ধর্ষণের এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে ধর্ষিতার দিনমজুর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক ফয়সালকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন। ভিকটিম ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের গোলাহাট কবরস্থান এলাকার নাঈমের পুত্র ২ সন্তানের জনক ফয়সাল (২৭) তার ফাঁকা বাসায় ওই দিনমজুরের কন্যা ৫ম শ্রেণির ছাত্রীকে ডেকে নেয়। এ সময় মেয়েটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করলে মেয়েটি চিৎকার দেয়। এ সময় এলাকার লোকজন ফয়সালকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয়রা ধর্ষক ফয়সালকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে। একপর্যায়ে ঘরে আটক ফয়সাল গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনা দেখে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনার পরপর ধর্ষিতার পিতাসহ লোকজন ধর্ষিত ছাত্রীকে নিয়ে থানায় আসে। থানায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ওই স্কুল ছাত্রী তাকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। ছাত্রীর স্বীকারোক্তি পেয়েই থানা পুলিশ ধর্ষক ফয়সালকে গ্রেফতার করতে গেলে সে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাবিয়া বেগমের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তার পরিবারসহ ধর্ষিতাকে থানায় পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে, থানার সিনিয়র সাব-ইন্সপেক্টর মো. আমজাদ আলী ধর্ষণের ঘটনায় মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হাসপাতালে পুলিশ পৌছার আগেই ধর্ষক ফয়সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে তিনি জানান, তাকে ধরতে সম্ভাব্য সকল স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য স্কুল ছাত্রীকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।